হরতালে সহিংসতা প্রতিরোধে আইন
৩১ মে ২০১৩তবে মাহবুব উদ্দিন খোকনের মতে, এটা বিরোধী দলকে দমনের নতুন ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না৷
চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীদের এক সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, নতুন এই আইন প্রণয়ন হলে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান উভয়ই ক্ষতিপূরণ পাবেন সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের কাছ থেকে৷ আর যদি কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের নিবন্ধনও বাতিল করা হতে পারে৷ তিনি বলেন, সহিংসতা কখনো রাজনৈতিক অধিকার হতে পারে না৷ তাই হরতালের নামে সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রেখে সহিংসতার বিরুদ্ধে নতুন আইন তৈরির চিন্তা করছে সরকার৷ তিনি অবশ্য এই আইনের বিস্তারিত ব্যাখা দেননি ঐ অনুষ্ঠানে৷
নতুন আইনের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এর জন্য নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন নাই৷ প্রচলিত আইনেই কোনো সহিংসতায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান আছে৷ আর শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, বিধান আছে শাস্তিরও৷ এর জন্য নতুন আইন প্রণয়নের ভালো কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না৷ তাই তাঁর কথায়, ‘‘হরতাল রাজনৈতিক অধিকার৷ এই আইন করে সরকার মূলত কৌশলে হরতাল বন্ধ করতে চায়৷ তারা ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷ এখন হরতালের সহিংসতা প্রতিরোধে নতুন আইনের নামে হরতালও বন্ধ করতে চাইছে৷''
তিনি দাবি করেন, বিরোধী দল হরতালে সহিংসতা করে না৷ সরকারি দলই সহিংসতা করে বিরোধী দলের ওপর চাপায়৷ তাই সরকার যেন তার দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়৷
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী সহিংসতায় জড়িত প্রমাণ পাওয়া গেলে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার জবাবে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এটা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, নির্বাচন কমিশনের কাজ৷ সে জন্য স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় প্রমাণ হয় যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়৷ সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ একটি রাজনৈতিক দল কিভাবে পরিচালিত হবে, তাদের নিন্ধন থাকবে কিনা – তা নির্বাচন কমিশনেরই দেখা উচিত৷
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নতুন আইনের মাধ্যমে মূলত সরকার বিরোধী দলকে দমনের আরেকটি হাতিয়ার তৈরি করতে চায়৷ কিন্তু এভাবে দমন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, বলে মনে করেন তিনি৷