সংলাপ প্রসঙ্গে দুই নেত্রী
৮ নভেম্বর ২০১৩ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা চলতি সপ্তাহে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার পথ বন্ধ হয়নি৷ বিরোধী দলীয় নেত্রীকে দাওয়াত দেয়াই আছে৷ তাই তিনি চাইলে যে কোনো সময় আলোচনা বা সংলাপ হতে পারে৷ তবে বিরোধী দল শর্ত দিয়ে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছে৷ জানা যায়, বৈঠকে ব্যবসারয়ীর অতি দ্রুত মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপ শুরুর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রীকে৷
ব্যবসায়ী নেতারা এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান বিরোধী দলীয় নেত্রীকে৷ তাঁরা অন্তত মহাসচিব পর্যায়ে শর্তহীন সংলাপ করার অনুরোধ করেন খালেদা জিয়াকে, খবর এমনতরই৷
খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বলেন যে, তিনি আলোচনার জন্য এখনো প্রস্তুত আছেন৷ আর তারা নয়, সরকারই শর্ত দিয়ে আলোচনার পথ রুদ্ধ করেছে৷ তবে বিএনপি এখনো আলোচনা চায়৷ ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিএনপি মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের জন্য প্রস্তুত৷ তাই তিনি আশা করেন, সরকার সংলাপের পথে ফিরে আসবে৷
কিন্তু সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংলাপ নিয়ে দুই নেত্রীই নাটক করছেন৷ কারণ কেউই তাঁদের অবস্থানের পরিবর্তন করেননি৷ কারুর মধ্যেই ছাড় দেয়ার মানসিকতা নেই৷ প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার আর বিরোধী দলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল আছেন৷ এই মনোভাবের পরিবর্তন না হলে সংলাপ করেও কোনো লাভ হবে না৷ তিনি বলেন, এর আগেও বাংলাদেশের মানুষ মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপ দেখেছে, যা থেকে কোনো ফল আাসেনি৷
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সবাই বিচার মানেন কিন্তু ‘তাল গাছের' দখল না ছেড়ে৷ একদল ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় আর আরেক দল ক্ষমতায় যেতে চায়৷ এই চাওয়া বাস্তবায়নে তাঁরা যাঁর যাঁর অবস্থান নিয়েছেন৷ দেশের মানুষের কথা তাঁরা ভাবছেন না৷
এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ সোমবার মন্ত্রীরা পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷ এরই মধ্যে কোনো কোনো মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ-পত্র জমাও দিয়েছেন বলে জানান তিনি৷ ওবায়দুল কাদের জানান, তিনি নিজে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন রবিবার৷
ওবায়দুল কাদের জানান, সর্বদলীয় সরকারের যাঁরা থাকবেন তাঁদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না৷ ফলে নতুন করে তাঁদের আর শপথ নিতে হবে না৷ তবে যাঁরা মন্ত্রি পরিষদের বাইরে থেকে সর্বদলীয় সরকারে যাবেন তাঁদের শপথ নিতে হবে৷ আর নির্বাচন হবে এই সর্বদলীয় সরকারের অধীনেই৷