1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক গোলেই শেষ বাংলাদেশের স্বপ্ন

১৮ আগস্ট ২০১৮

গ্রুপ পর্ব বা সেমিফাইনাল, তিন ম্যাচে বাংলাদেশের জালে বল জড়াতে পারেনি কেউই। অথচ, ফাইনালে একটি গোলেই শেষ হয়ে গেল টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবল জয়ের স্বপ্ন।

https://p.dw.com/p/33MZx
ছবি: Facebook/Bangladesh Football Federation

দ্বিতীয়র্ধে দু’দলই খেলছিল আক্রমণাত্মক ফুটবল। ৬৫ মিনিটে একটি কর্নার পায় ভারত। সেখান থেকে আলতো করে ভাসিয়ে ডিবক্সের ভেতরে পাঠানো বলে অসাধারণ এক ভলিতে গোল দেন ভারতের সুনীতা মুন্ডা।

দারুণ প্লেসমেন্টের ফলে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারের চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

এক গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিগুণ উজ্জ্বীবিত ভারতের পালটে যায় শারীরিক ভাষা। তবে গোল পরিশোধে মরিয়া বাংলাদেশ এর পর টানা আক্রমণে যেতে থাকে।

খেলার বাকি সময়ে অন্তত পাঁচটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে। এর মধ্যে ৭৬ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে করা শট ক্রসবারে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। কিন্তু এসব সুযোগের কোনোটিকেই আর গোলে রূপান্তর করতে পারেনি বাংলার মেয়েরা।

গোলশূন্য প্রথমার্ধ

একের পর এক আক্রমণ-পালটা আক্রমণ সত্ত্বেও প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি কেউই।

অনূর্ধ-১৫ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে নেই স্বাগতিক দেশ ভুটান। কিন্তু থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে দর্শকদের হইচই শুনে অবশ্য ঠিক বোঝা যাচ্ছিলো না খেলাটা আসলে জাতীয় দলের না।

ভারতের দর্শকরাও যেমন চিৎকার দিয়ে নিজেদের মেয়েদের সমর্থন জানাচ্ছিলেন, পালটা জবাব গ্যালারি থেকে দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরাও।

টুর্নামেন্টের অন্য সব দলের তুলনায় সামর্থ্য এবং পরিসংখ্যান, দুই বিচারেই ভারত বেশ শক্তিশালী। এই ভারতকেই গত আসরে দুইদুইবার হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে, ফাইনালে ১-০ গোলে।

ফলে আভাস মিলেছিল জমজমাট লড়াইয়ের।

মাঠেও দর্শকদের সে প্রত্যাশার প্রতিফলন দিয়েছে দুই দলই। আক্রমণ-পালটা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে ওঠে খেলা।

লাল-সাদা জার্সিতে মাঠে নামা বাংলাদেশের মেয়েরা ছোট ছোট পাসে আক্রমণে নাজেহাল করে নীল রঙের ভারতকে।

প্রতিপক্ষ একাধিকবার কাউন্টার অ্যাটাকে গেলেও বাংলাদেশের গোলকিপার মাহমুদা আক্তারকে কোনো কঠিন পরীক্ষা যেতে দেননি ডিফেন্ডাররা।

ছাড় দেয়নি ভারতও। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের কোনো আক্রমণকেই গোলে পরিণত হতে দেয়নি তাঁরা। বরং বল কেড়ে নিয়ে বারবারই গেছে পালটা আক্রমণে। ফলে টুর্নামেন্টের অন্য ম্যাচে একটু বেশিই ছোটাছুটি করতে হয়েছে বাংলাদেশের মাহমুদাকে।