1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান শরণার্থীকে ফেরত আনবে জার্মানি

১৯ জুলাই ২০১৮

কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, তারা ভুল করে ২০ বছর বয়সি এক আফগান আশ্রয়প্রার্থীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে৷ অভিবাসন অফিস এখন তাঁকে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/31k5L
Deutschland Flüchtlinge Protest gegen Abschiebung
ছবি: Getty Images/S. Gallup

অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক জার্মানির ফেডারেল অফিস বিএএমএফ বুধবার জানিয়েছে এ তথ্য৷ নসিবু্ল্লাহ নামের সেই শরণার্থীকে আরো ৬৮ আফগান শরণার্থীর সঙ্গে এ মাসের শুরুর দিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল৷ অথচ এই তরুণের আশ্রয়প্রার্থনার আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলছে৷ সুরাহা হয়নি৷

তাঁর আবেদনটি প্রাথমিকভাবে গত বছর এপ্রিলে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল৷ এরপর তিনি আপিল করলে তা এখনো জার্মান শহর গ্রিফসভাল্ডের প্রশাসনিক আদালতে ওঠেইনি৷

বিএএমএফ জানিয়েছে যে, নসিবু্ল্লাহর আইনজীবীর সঙ্গে ও কাবুলে জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে৷

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার বুধবার সকালে বলেন, ‘‘এটি বিএএমএফ-এর একটি প্রশাসনিক ভুল৷'' তিনি সর্বদা ‘ন্যায়শাসন নিশ্চিত' করতে চান বলে দাবি করেন৷

গত মাসে সেহোফারের ‘অভিবাসন মহাপরিকল্পনা' নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়৷ ম্যার্কেলের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি আরো দাবি করেন যে, তাঁর এলাকা বাভারিয়া রাজ্যকে অস্ট্রীয় সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা দিতে হবে

এদিকে, নসিবুল্লাহ তাঁর আপিলটি যথাসময়ে করেননি বলে বিএএমএফ প্রথমে দাবি করলেও তাঁর আইনজীবী এই দাবি ভুল প্রমাণ করেন৷ গ্রিফসভাল্ডের প্রশাসনিক আদালতও আগেই আপিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷

বিএএমএফ এখন বলছে যে, যদি তাদের ফিল্ড অফিস সময়মতো তথ্যগুলো দিয়ে থাকে তাহলে এমন ভুল হওয়ার কথা ছিল না৷

জার্মানি এবারই প্রথম আফগানিস্তান থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত আনেনি৷ গত ডিসেম্বরেও এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল৷ জিগমারিনগেনের প্রশাসনিক আদালত সেই আফগান নাগরিককে ফেরত আনার রায় দিয়েছিল৷ পরে তাঁকে জার্মানিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ দেয়া হয়, কারণ, তিনি আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে লড়াইয়ে জার্মান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন এবং এর ফলে তাঁর জীবন ঝুঁকিতে পড়ে৷

এর আগে বিএএমএফ অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে৷

জেডএ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)