মারণব্যাধী এইডস
১৯ জুলাই ২০১৩বার্লিনের ডাক্তার কেইকাভুস আরাস্টে অনেক বছর ধরে এইডস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত সাফল্যের আশায় কাজ করছি৷ দুঃখের বিষয়, টিকা তৈরির প্রচেষ্টা এখনো সফল হয় নি৷ তবে ওষুধ দিয়ে ভাইরসাকে কাবু করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা অগ্রসর হয়েছি৷ ফলে যে সব রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পায়, এই চিকিৎসা কাজে লাগলে তারা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে পারেন৷''
এটা সত্যি একটা বড় সাফল্য৷ এইডস এজেন্ট ভালো করে পরীক্ষা করা হয়৷ এবার গবেষকরা সেটিকে পুরোপুরি অকেজো করে তুলতে চান৷ কিন্তু ভাইরাস ক্রমাগত বদলে চলায় টিকা তৈরির সম্ভাবনা বেশ কম৷ ড.আরাস্টে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না যে এই বিস্ময়কর সাফল্য দেখে যেতে পারবো৷ আসলে এইচআইভি অত্যন্ত গোলমেলে বিষয়৷''
তবে বিজ্ঞানীরা হাল ছাড়ার পাত্র নন৷ অ্যামেরিকার একদল গবেষক এইচআইভি বহনকারী এক ব্যক্তির শরীরে এমন অ্যান্টিবডি খুঁজে পেয়েছেন, যা ভাইরাসের ক্রমাগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকেও বদলে ফেলে এবং তাদের খতম করে৷
যে সব জিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, সেগুলি এইচআইভি-সংক্রমিত রোগীর মধ্যে স্থাপন করার প্রচেষ্টাও চলছে৷ তবে এই পরীক্ষার ফল পেতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে৷
কেইকাভুস আরাস্টে-র কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, ভাইরাস বহন করা সত্ত্বেও মানুষ কীভাবে ওষুধপত্র ছাড়াই বাঁচতে পারে৷ প্রাণিজগতের মধ্যেই সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে৷ তিনি বললেন, ‘‘যে সব বানর এইচআইভি বহন করছে, তারা কীভাবে বেঁচে থাকে? আসলে তাদের শরীরে ভাইরাল লোড খুব বেশি৷ ইমিউন সিস্টেম তার পরোয়া করে না৷ বানররা তাদের ভাইরাস নিয়ে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে৷''
এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এইচআইভি বহন করা সত্ত্বেও কোনো বানরই অসুস্থ হয়নি৷ এটা কীভাবে সম্ভব? এর পেছনে কারণ কী? গবেষকরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, যাতে ভবিষ্যতে এইডস রোগ পালাবার পথ না পায়৷
এসবি/ডিজি