উনের সঙ্গে দেখা করতে চান মুন, যদি...
১০ জানুয়ারি ২০১৮‘‘কিন্তু এটা শুধু কথা বলার জন্য আলোচনা হতে পারে না,'' বুধবার সাংবাদিকদের বলেন তিনি৷ মুন জানান, ‘যে কোনো সময়' এই আলোচনা হতে পারে, যদি তা হয়, ‘সঠিক পরিবেশে'৷
দুই বছরেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়৷ ‘‘এটা কেবল শুরু,'' ঐ আলোচনা সম্পর্কে বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ ‘‘গতকালেরটি ছিল প্রথম ধাপ এবং আমার মনে হয় শুরুটা ভালো হয়েছে,'' মঙ্গলবারের আলোচনা সম্পর্কে বলেন মুন জে-ইন৷
তবে আলোচনার পরের ধাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসাটা পরবর্তী ধাপ হিসেবে নিতে হবে৷''
দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ ‘‘আমি মনে করি, আন্তঃকোরীয় আলোচনা শুরু হওয়ার পেছনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় ভূমিকা আছে,'' বলেন তিনি৷
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এই আলোচনা শুরুর পেছনে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন৷ ‘‘আমি যদি জড়িত না থাকতাম, তারা অলিম্পিক নিয়ে এখন কথা বলত না, তারা কোনো আলোচনায় বসত না,'' বলেন তিনি৷
দুই কোরিয়ার মধ্যে মঙ্গলবারের আলোচনায় উত্তর কোরিয়া আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তাঁর নতুন বছরের বক্তব্যে প্রথম এই আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন৷
তবে আলোচনার সময় উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো অঙ্গীকার করেনি৷ এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার প্রধান আলোচক রি সন-গিওন দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাদের সব নিউক্লিয়ার ও হাইড্রোজেন বোমা এবং আইসিবিএম-সহ অন্যান্য অস্ত্রের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র, ‘ভাতৃপ্রতিম' দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া কিংবা চীন নয়৷'' এজন্য বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলেও জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার উদ্যোগে আগামী ১৬ তারিখ ভ্যানকুভারে উত্তর কোরিয়া নিয়ে প্রায় ২০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে চীন তাতে অংশ নেবেনা বলে জানিয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)