উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংকট
১১ আগস্ট ২০১৭দেশটির ইংরেজি ভাষার সরকারি গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যদি উত্তর কোরিয়ায় সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে এবং কোরীয় উপত্যকায় বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থায় পরিবর্তন আনতে হামলা করে তাহলে চীন তা করতে দিতে বাধা দেবে৷’’
তবে যে কোনো পরিস্থিতিতেই পিয়ংইয়ংকে সমর্থন দেয়া চীনের উচিত হবে না বলেও সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়েছে৷ ‘‘চীনের এটাও স্পষ্ট করে দেয়া উচিত যে, উত্তর কোরিয়া যদি প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নেয় তাহলে চীন নিরপেক্ষ থাকবে৷’’
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল শুক্রবার মেলবোর্নের এক রেডিওকে বলেন, ওয়াশিংটনের ‘অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে শক্তিশালী সমর্থক আর নেই৷’ তিনি বলেন, ‘‘পরিষ্কার করে বলি, উত্তর কোরিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা চালায় তাহলে এএনজেডইউএস চুক্তি কার্যকরা করা শুরু হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় এগিয়ে আসবে অস্ট্রেলিয়া৷’’
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্টস চিফস অফ স্টাফ এর মুখপাত্র রো জ্য-চেওন বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের উসকানির ‘তাৎক্ষণিক ও কঠোর জবাব’ দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন ও সৌল৷
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানায়, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে এমন উসকানি ‘কখনই সহ্য করা হবে না'৷ পিয়ংইয়ংকে তারা মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জাপানের উপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নিক্ষেপ করা কোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে যদি নিজেদের (জাপানের) অস্তিত্বের প্রতি হুমকি মনে করে তাহলে তাতে বাধা দেয়ার ক্ষমতা জাপানের আছে৷
জার্মানি ও ন্যাটোর অবস্থান
জার্মান কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের মিত্রদেশ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই মারাত্মক পরিস্থিতি’-র উদ্ভব হয়েছে৷ জার্মানি এখনও কোনো রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেনি৷ তবে ওয়াশিংটন যদি ন্যাটোর আর্টিকেল ৫ কার্যকর করে তাহলে ন্যাটোর সদস্য হিসেবে জার্মানি কী করবে? আর্টিকেল ৫ অনুযায়ী, কোনো সদস্যরাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়লে বাকি সদস্যদের ঐ রাষ্ট্রের সহায়তায় এগিয়ে আসার কথা৷ অবশ্য আর্টিকেল ৬-তে যে প্রতিরক্ষা সীমানার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে পড়ে না যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপ৷ উত্তর কোরিয়া এই দ্বীপেই আঘাত হানার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে৷
লুইস স্যান্ডার্স ফোর/জেডএইচ