1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উচ্চমাত্রার গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ করবে নেদারল্যান্ডস

৯ অক্টোবর ২০১১

নেদারল্যান্ডসের খ্যাতির সঙ্গে গাঁজার একটা সম্পর্ক কোথায় যেন খুঁজে পাওয়া যায়৷ সেদেশের কথা জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলেন, সেখানে কফি শপে গাঁজা বিক্রি হয়৷ বিশ্বের প্রায় সব দেশে গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও নেদারল্যান্ডস ব্যতিক্রম৷

https://p.dw.com/p/12oGh
নেদারল্যান্ডসের কফি শপে গাঁজা সেবন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত কফি শপগুলোর জন্য দুঃসংবাদ৷ সেদেশের সরকার এবার গাঁজা বিক্রির উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে৷ উচ্চমাত্রার গাঁজাকে গণ্য করা হবে ‘কড়া মাদক' হিসেবে৷ এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মাদকের মধ্যকার সবচেয়ে সক্রিয় ক্যামিকেল হচ্ছে ‘টিএইচসি'৷ যার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে, আগের যুগে এত মাত্রার টিএইচসি ছিল না৷

নেদারল্যান্ডসের শুধু আমস্টারডাম শহরেই রয়েছে প্রায় আড়াইশো কফি শপ৷ প্রতিটি কফি শপেরই গাঁজা বিক্রি করার লাইসেন্স রয়েছে৷ ডাচ সরকার উচ্চমাত্রার গাঁজার উপর কড়াকড়ি আরোপ করলে, এসব শপের তাক থেকে বিভিন্ন ধরনের গাঁজা সরিয়ে ফেলতে হবে৷ সেদেশের রাজনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চমাত্রার গাঁজা, যেটি কিনা ‘স্কুন্ক' নামে পরিচিত, এখন আগের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক৷

ভবিষ্যতে তাই ১৫ শতাংশের বেশি ‘টিএইচসি' আছে এমন যেকোন পণ্যকে ‘কড়া মাদক' হিসেবে গণ্য করা হবে, এবং কোকেইন বা এক্সটেসি'র কাতারেই ফেলা হবে৷ বলাবাহুল্য, এই সিদ্ধান্ত কফি শপগুলোর জন্য বড় ধাক্কা৷ কেননা, এতে করে সেসব দোকানের বিভিন্ন মানের আশি শতাংশ গাঁজাই সরিয়ে ফেলতে হবে৷

Flash-Galerie Themen der Grünen Drogenpolitik
উচ্চমাত্রার গাঁজাকে গণ্য করা হবে ‘কড়া মাদক' হিসেবেছবি: ephedra/Fotolia

নেদারল্যান্ডসের কফি শপের মালিকদের কেউ কেউ কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক মনে করছেন৷ এদেরই একজন মার্ক জোসম্যান৷ তিনি দাবি করছেন, ডাচ রাজনীতিতে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা উগ্র ডানপন্থীরাই এসব কড়াকড়ি আরোপ করছে৷

মার্ক বলেন, ‘‘তাদের কাছে এতকাল যা কিছু গতানুগতিক ছিল, সেগুলোকে এখন তারা ‘বামদের শখ' হিসেবে গণ্য করছে৷ এখন তারা এসব ‘বামদের শখ' নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে, গাঁজার উপর কড়াকড়ি এরকমই এক উদাহরণ৷

গাঁজা নিয়ে যে দেশে এত আলোচনা, সেদেশের সাধারণ মানুষ কিন্তু এই বস্তুটির প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট নন৷ কফি শপে কর্মী নাইওমি লেভিথান'এর কথাই ধরা যাক৷ তার বয়স এখন ২৩ বছর৷ বারো বছর বয়সে প্রথম একটি জয়েন্ট সেবন করেছিল সে৷ নাইওমি জানালো, আমস্টারডামে অনেকেই গাঁজা টানে তবে এর অর্ধেকেরও কম হচ্ছে ডাচ নাগরিক৷

নাইওমি'র কথায়,‘‘ আমি জানি আমস্টারডামে প্রচুর বিদেশি বসবাস করে৷ কেউ কাজ করছে, কেউবা পড়াশোনা৷ তারা গাঁজা সেবন করে৷ এখানে এটা অবৈধ নয়৷ এখানকার মানুষরা অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে অনেক বেশি বন্ধুসুলভ৷''

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডাচ তরুণ-তরণীদের চেয়ে মার্কিন, ফরাসি বা ব্রিটিশ তরুণ-তরুণীরা গাঁজায় আসক্ত বেশি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যে কেউ চাইলে সহজে গাঁজা সেবন করতে পারে -- এমন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নেদারল্যান্ডসে মাত্র ২৮ শতাংশ টিনএজার গাঁজা সেবন করে থাকে৷ অ্যামেরিকায় এর সংখ্যা প্রায় ৪১ শতাংশ৷

সে যাই হোক, আশা করা হচ্ছে উচ্চমাত্রার গাঁজার উপর আগামী বছর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে নেদারল্যান্ডস৷ এরপর বিভিন্ন কফিশপে নিয়মিত হানা দেবে পুলিশ৷ এভাবেই হালকা মাদক বিক্রির বহু বছরের প্রথা থেকে সরে আসবে ডাচরা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান