ঈদে কারাবন্দিদের জন্য খেলাধুলা ও বিনোদন ব্যবস্থা
২ মে ২০২২ঈদ উপলক্ষে বরাবরই দেশের কারাগারগুলোয় বন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়৷ এবার ঈদুল ফিতরে খাবারের পাশাপাশি যোগ হচ্ছে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য ফুটবল খেলার আয়োজনের কথা জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ৷ কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়াও জানান, এবার তারা বন্দিদের ফুটবল দিয়েছেন৷ আশা করছেন, বন্দিরা দিনভর ফুটবলেই মেতে থাকবে৷
কুমিল্লা কারাগারে ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে ঈদের তিন দিনই৷ জেল সুপার আরিফুর রহমান জানান, ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে৷ ওয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারও পাবে৷
টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে বন্দি ৭৩৫ কিশোরের জন্য কিছু ইনডোর গেমস রেখেছে এখানকার কর্তৃপক্ষ৷ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান বলেন, কিশোরদের খেলাধুলার জন্য কিছু ফুটবলও কিনে দেওয়া হয়েছে৷
ঢাকার জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ঈদের দিন বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সকালে পায়েস সেমাই মুড়ির পর দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসির মাংসের তরকারি আর মিষ্টান্ন দেওয়া হবে৷ আর রাতে থাকছে সাদা ভাত মাছ, ডাল আর মিষ্টান্ন৷
কাশিমপুর কারাগারে বিশেষ খাবার ছাড়াও বন্দিদের জন্য গানবাজনার সুযোগ রাখার কথা বলেন জেল সুপার নুরুন্নবী ভূঁইয়া৷
গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯৯৭ জন বন্দি আছেন৷ ঈদের দিন এই কারাগারে বিশেষ খাবারের বাইরে আর তেমন কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান জেলসুপার৷
ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) জাহাঙ্গীর কবীর জানান, তার বিভাগের চারটি কারাগারে ৩ হাজারের বেশি বন্দি আছেন৷ সেখানেও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছাড়া তেমন কিছু আয়োজন নেই৷
টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান জানান, তার কেন্দ্রেও ঈদের দিনে বিশেষ খাবার পাবে বন্দি কিশোররা৷
এর আগে ঈদের দিন পরিবারের সদস্য বা স্বজনরা বাড়ি থেকে বন্দিদের জন্য খাবার আনতে পারলেও কোভিড মহামারি শুরুর পর থেকে তা বন্ধ৷ এবার সংক্রমণ কমে এলেও সেই নিয়ম বহাল রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ৷ তবে বন্দিরা কারাগারের ভেতরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেতে পারবেন৷
স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ উপলক্ষে সব বন্দি তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন৷ আগেই সাক্ষাতের জন্য ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হলেও এবারে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ মিনিট৷
তবে ঈদের একদিন বা দুদিন আগে যেসব বন্দিদের সঙ্গে তাদের স্বজনরা দেখা করে গেছেন, তারা সেই সুযোগ পাবেন না৷
বিভিন্ন জেল সুপাররা জানান, সময় স্বল্পতায় ঈদের দিন যারা স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন না, তাদেরকে ঈদের পরিদন সুযোগ দেওয়া হবে৷
ফাঁসির আসামিদের কিছুক্ষণ বাইরে থাকার সুযোগ
কারা অধিদপ্তরের এআইজি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মানবিক বিবেচনায় ঈদের দিন ফাঁসির আসামিরা ‘কনডেম সেল' থেকে বের হয়ে বাইরে খানিকটা সময় হাঁটাহাঁটির সুযোগ পাবেন৷ সাধারণ বন্দিদের মতো তারাও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন বলে মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)