ইয়েমেন পরিবর্তনের মুখে, সিরিয়া উত্তাল
২৬ মার্চ ২০১১ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ অবশেষে বলেছেন যে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি৷ কিন্তু নাকি কিছু শর্ত যোগ করেছেন তিনি৷ সালেহ বলেছেন যে তিনি একমাত্র ‘‘নিরাপদ হাতে'' ক্ষমতা তুলে দিতে রাজি, কিন্তু ‘‘অসুস্থ, অসন্তুষ্ট কি দুর্নীতিগ্রস্ত হাতে'' নয়৷
কিন্তু উনি যে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হলেন, সেটাই বড় কথা৷ এক সপ্তাহ আগে চোরাগোপ্তা বন্দুকধারীরা সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়ে ৫২ জন মানুষের প্রাণ নেয়৷ সেযাবৎ সালেহ চাপের মুখে৷ তার পর আবার এক পর্যায় কূটনীতিক, উপজাতিক নেতা এবং বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর জেনারেলরা সালেহ'র পক্ষ বর্জন করেছেন, যেমন মুখ্য জেনারেল আলি মোহসেন৷ এখন নাকি সালেহ কিভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা ছাড়তে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা চলেছে৷ সালেহ, জেনারেল মোহসেন এবং তাদের পরিবারেরা কিভাবে ইয়েমেন ছাড়তে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা চলেছে৷
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আর তাঁর পিতা হাফেজ আল-আসাদ মিলিয়ে তো দীর্ঘদিনের কায়েমি শাসন৷ কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ সিরিয়ায় ডজন ডজন আন্দোলনকারীদের হত্যা করার পর থেকেই সিরিয়ার মানুষদের যেন ভয় এবং আতঙ্কের বাঁধ ভেঙে গেছে৷ আসাদ সরকার বৃহস্পতিবার প্রতিশ্রুতি দেন যে, সিরীয়দের আরো বেশী স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যাপারটা ভেবে দেখা হবে৷ অথচ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন সঙ্ঘর্ষে আবার অন্তত ২৩ জন মানুষের প্রাণ যায় বলে প্রকাশ৷ ডেরায় আসাদের পিতা হাফেজ আল-আসাদের মূর্তি টেনে নামানো হয়েছে৷ এখানেও চলেছে বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস৷ বোতল থেকে জিন বেরনোর পরে আসাদ আবার তাকে বোতলে পুরতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার