নতুন হামলার হুমকি দিল আইএস
৫ অক্টোবর ২০১৬তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর বাংলাদেশ সামরিক শাখার প্রধান তামিম চৌধুরীর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে গোষ্ঠীটির রুমিয়া ম্যাগাজিনে৷ এতে চৌধুরীর মৃত্যুর খবরের পাশাপাশি নতুন হামলার হুমকিও দেয়া হয়েছে৷
আইএসের বহুভাষিক ম্যাগাজিন রুমিয়ার দ্বিতীয় সংস্করণে বাংলাদেশ নিয়ে একটি ‘‘এক্সক্লুসিভ'' নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এটির লেখক তামিম চৌধুরী, যিনি গত আগস্টে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হন৷ আইএসের ম্যাগাজিনে চৌধুরীকে ‘‘বাংলার সামরিক এবং গুপ্ত হামলার'' সাবেক প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে৷
বিস্তারিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের বিভিন্ন জঙ্গি হামলা নিয়ে একটি ইনফোগ্রাফিক প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরেই দেশটিতে জঙ্গি গোষ্ঠীটির তৎপরতা রয়েছে৷ পাশাপাশি গুলশান হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গির প্রশংসামূলক প্রোফাইলও প্রকাশ করেছে প্রোপাগান্ডা ম্যাগাজিনটি৷
সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি সংবাদিক তাসনিম খলিল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আইসিসের মূল টার্গেট কারা তার একটি হিসাব আছে নিবন্ধে: ১২% শিয়া, ১৯% ‘‘মুরতাদ ও নাস্তিক,'' ২৭% খ্রিষ্টান, ৪২% হিন্দু ও বৌদ্ধ৷ বাংলাদেশে আইসিসের মূল টার্গেট যে হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সেটা আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি৷ এবার আইসিসের হিসাবেই অংকটি পরিষ্কার হলো৷''
জঙ্গিদের অনলাইন তৎপরতার দিকে নজর রাখা সাইট ইন্টেল গ্রুপের প্রধান রিটা কাৎস রুমাইয়াতে প্রকাশিত বাংলাদেশ বিষয়ক প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করেছেন৷ টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ক্যানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরীকে বেঙ্গলের সামরিক শাখার সাবেক প্রধান হিসেবে পরিচয় দিয়েছে ইসলামিক স্টেট৷
চৌধুরীর লেখা নিবন্ধকে উদ্বৃত করে রিটা কাৎস আরো লিখেছেন, ‘‘আইসিস নিরাপত্তা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করবে এবং বিদেশি, পর্যটক, কূটনৈতিক, পোশাক ক্রেতা, ধর্মপ্রচারক এবং বিভিন্ন ক্রীড়াদলের উপর হামলা চালাবে৷''
তবে তাসনিম খলিল জানিয়েছেন, তামিম চৌধুরী যে জঙ্গি গোষ্ঠীটির বাংলাদেশ প্রধান নয় সেটাও ম্যাগাজিনটির নিবন্ধ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘নিবন্ধে তামিম আহমেদ চৌধুরীর কুনিয়া বা জিহাদী ছদ্মনামটি ব্যবহার করা হয়েছে: আবু দুজানা আল-বাঙালী৷ তার পরিচয়ে লেখা হয়েছে যে তিনি ছিলেন বাংলায় খিলাফার সৈনিকদের সামরিক নেতা৷ এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় যে, বাংলাদেশে আইসিসের তথাকথিত আমীর, যার কুনিয়া আবু হানিফ, আর তামিম আহমেদ চৌধুরী দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি৷''
উল্লেখ্য, জিহাদিদের অনলাইন কার্যক্রম বন্ধে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের উদ্যোগ সত্ত্বেও রুমিয়ার মতো ম্যাগাজিনগুলোর অনলাইন সংস্করণ ইন্টারনেটে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷ সর্বশেষ সংস্করণ অনলাইনে ছড়িয়ে দিতে জিহাদিরা গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করেছে৷