ইসলামবিরোধী ‘পেগিডা' আন্দোলনের সমালোচনায় ম্যার্কেল
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘যাঁদের সহায়তা প্রয়োজন জার্মানি তাঁদের সহায়তা করবে৷'' তিনি জানান, ২০১৪ সালে জার্মানি আশ্রয়প্রার্থীদের কাছ থেকে দুই লক্ষেরও বেশি আবেদন পেয়েছে, যেটা বিশ্বে সর্বোচ্চ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০১৪ সালই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী দেখেছে, বলেও জানান জার্মান চ্যান্সেলর৷ ম্যার্কেল বলেন, নির্যাতনের শিকার মা-বাবার সন্তানেরা জার্মানিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে – এ জন্য জার্মানি গর্ব করতে পারে৷
‘পেগিডা'-র সমালোচনা
সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির কয়েকটি শহরে ইসলামবিরোধী পেগিডা (পেট্রিয়টিক ইউরোপিয়ানস এগেনস্ট দ্য ইসলামাইজেশন অফ অক্সিডেন্ট) আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ম্যার্কেলের সমালোচনা করে জার্মান নাগরিকদের এ ধরণের কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এ ধরণের কর্মসূচি বিভিন্ন বর্ণ ও ধর্মের মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ৷ ‘‘আপনারা এই আন্দোলনের আয়োজকদের অনুসরণ করবেন না৷ তারা শীতল হৃদয়ের অধিকারী এবং তাদের মন প্রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট ও ঘৃণায় পূর্ণ,'' নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷
প্রসঙ্গ আইএস
ইসলামিক স্টেট-এর জঙ্গিরা বিশ্বের জন্য যে বিপদের কারণ হয়ে উঠছে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দেন ম্যার্কেল৷ এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি ‘‘সব শ্রেণির মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, আর যারা তাদের বিরোধিতা করেছে তাদের হত্যা করেছে,'' বলেন তিনি৷ আইএস ‘আমাদের মূল্যবোধের' জন্যও হুমকি, বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷
ম্যার্কেল তাঁর নববর্ষের বার্তায় ইউরোপ-রাশিয়া সম্পর্ক, ইবোলা নিয়েও কথা বলেন৷ ইউক্রেন সংকটের কারণে ইউরোপ বিভক্ত হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জার্মানি রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়েই নিরাপদ ইউরোপ গড়তে চায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে নয়৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)