ইসরায়েল সফরে রমনি
২৯ জুলাই ২০১২ইউরোপ সফরের মাঝখানে দুইদিনের ইসরায়েল সফরে জেরুসালেম গেলেন রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি৷ ব্রিটেনে তার এই সফর শুরু হয়েছিলো৷ রবিবার ও সোমবার তিনি ইসরায়েল থাকবেন, এরপর যাবেন পোল্যান্ডে৷ তাঁর সফরের উদ্দেশ্য ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল সমর্থক ভোটারদের সমর্থন আদায় করা৷ তবে এই সফরে ফিলিস্তিনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সালাম ফাইয়াদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে রমনির৷
রোববার জেরুসালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মিট রমনি৷ এই সময় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শঙ্কা ইরান প্রসঙ্গ স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে৷ রমনি বলেন, ‘‘আপনাদের মত আমরাও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে সেটা আমাদের কাছেও অগ্রহণযোগ্য৷ ইসরায়েলের প্রতি যে হুমকি রয়েছে সেটা বিশ্বের কোন কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যায় না৷'' রমনি নেতানিয়াহুকে জানান যে ইরানের পরমাণু ইস্যুটি তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছেন৷
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী স্বভাবজাতভাবেই ইরানের কঠোর সমালোচনা করেছেন৷ নেতানিয়াহু জানান, ইরানের সঙ্গে এখন যে কূটনৈতিক আলোচনা ও নিষেধাজ্ঞার পর্ব চলছে তাতে দেশটির পরমাণু কর্মসূচির এক বিন্দুও এদিক-সেদিক হয়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘একমাত্র ইরানের ওপর সত্যিকার সামরিক হুমকি এবং একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারে৷'' প্রসঙ্গত, মনে করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলই একমাত্র দেশ যার কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে৷
মার্কিন রাজনীতিকরা বিদেশে গেলে নিজ দেশের সরকারের সমালোচনা করেন না৷ মিট রমনিও তাই ওবামা প্রশাসনের কোন নীতি নিয়ে কথা বলেন নি৷ তবে নিজ দেশে তিনি ওবামার পররাষ্ট্র নীতির কঠোর সমালোচনা করে যাচ্ছেন৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের সীমানায় ফিরে যাওয়ার জন্য যে আহ্বান জানিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তার সমালোচনা করেছিলেন মিট রমনি৷ এর মাধ্যমে ওবামা ইসরায়েলকে ‘বাসের নীচে ফেলে দিয়েছিলেন' বলে মন্তব্য করেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী৷
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও৷ সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি৷ এতে ইসরায়েলকে অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷
আরআই/এআই (এএফপি, ডিপিএ)