যা শিশুদের অমনোযোগী করে তোলে
২৯ জুলাই ২০১৮এলইডি স্ক্রিন কি ছোট্ট শিশুদের জন্য ক্ষতিকর?
অবশ্যই, যেসব শিশু নিয়মিত কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে, তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়৷ তারা সাধারণত হাইপারঅ্যাকটিভ কিংবা অমনোযোগী আচরণ করে৷ দুই থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য৷
জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক পাঁচ শতাধিক শিশুর উপর কয়েকবছর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তাঁরা বলছেন, যে শিশুরা প্রতিদিন কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেছে, একবছর পর দেখা গেছে, তারা, যে শিশুরা এসব ব্যবহার করেনি, তাদের চেয়ে বেশি হাইপারঅ্যাক্টিভ কিংবা অমনোযোগী আচরণ করেছে৷
গবেষকরা আরও জানতে পেরেছেন, যে শিশুরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের, যারা সেগুলো ব্যবহার করে না, তাদের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হয়৷
তাই গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, তিনবছরের কম বয়সি শিশুদের কোনোভাবেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়৷ আর তারচেয়ে বেশি বয়সি শিশুদের দিনে ত্রিশ মিনিটের বেশি এলইডি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেয়া উচিত নয়৷
নারীর বেশিক্ষণ কাজ করা উচিত নয়!
যেসব নারী সপ্তাহে গড়ে ৪৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করেন, তাদের ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে৷ ক্যানাডার একদল গবেষক জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তবে, পুরুষের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য নয়৷ গবেষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যেসব নারী বেশিক্ষণ কাজ করেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি, যারা কম কাজ করেন, তাঁদের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশি৷
গবেষকরা ৭,০০০-এর বেশি কর্মীর উপর বারো বছর ধরে গবেষণার পর এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তবে তাঁরা এখনো জানেন না, এক্ষেত্রে ঠিক কী কারণে পুরুষের চেয়ে নারীর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি৷ তাদের পরামর্শ হচ্ছে, টানা দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে বসে কাজ না করে মাঝেমাঝে অল্পসময়ের জন্য হাঁটাহাটি করা উচিত৷ আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কাজের পর নিয়মিত ব্যায়ামও জরুরি৷
রক্তে শর্করা কমায় ডাল
খাবারের প্লেট থেকে অর্ধেক আলু বা ভাত কমিয়ে তার বদলে ডাল খেলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে৷ ক্যানাডার এক গবেষক দলের দাবি, এটা করতে পারলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে৷ এভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব৷ আর কেউ যদি ডালের সঙ্গে আলু মিশিয়ে খান, অর্থাৎ মূল খাবার হয় ডাল, তাহলে শর্করার পরিমাণ কমবে ৩৫ শতাংশের মতো৷
ডাল এবং অন্যান্য শিম জাতীয় খাদ্য স্টার্চ থেকে শর্করা রক্তে মেশার প্রক্রিয়াকে মন্থর করে দেয়৷ ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়৷ তাই মোদ্দা কথা হচ্ছে, খাবারের মেন্যুতে মাঝে মাঝে ডাল রাখুন৷ আর বাঙালির জন্যতো এটা কোনো সমস্যা হওয়ারই কথা নয়৷ কারণ, ডাল ভালোবাসেন না, এমন কেউ কি আছেন?
লারিসা ওয়ার্নেক/এআই
আপনার শিশুও কি স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে আসক্ত? লিখুন নিজের কথা, নীচের ঘরে৷