ইরানি ট্যাঙ্কার জব্দ, তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব
৫ জুলাই ২০১৯বৃহস্পতিবার জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের তেলবাহী বিশাল ট্যাঙ্কার ‘গ্রেস ওয়ান' আটক করে ব্রিটিশ নৌ সেনারা৷
ইরানের দাবি, যুক্তরাজ্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাদের তেলবাহী জাহাজ আটক করেছে৷ ট্যাঙ্কার জব্দের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
যুক্তরাজ্যের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ‘‘দুর্দান্ত খবর''৷ এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে ইরান ও দামেস্কের বিরোধিতা করবে অ্যামেরিকা এবং আমাদের মিত্ররা৷''
জাহাজ জব্দ করার সময় তেলের উৎস আর জাহাজের মালিকানা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ৷ তবে ইরান স্বীকার করেছে তেলবাহী ট্যাঙ্কারটির মালিক তারা৷ ঘটনাকে অবৈধ ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ' হিসেবে দেখছে ইরান৷
২০১১ সালে সিরিয়ায় তেল পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপ৷ এর আগে কখনো কোনো ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনা ঘটেনি৷ কারণ, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মতো কঠোর অবস্থানে কখনো যায়নি ইইউ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই আক্রমণাত্মক অবস্থানকে ভিন্ন চোখে দেখছেন নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে পড়া প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক ম্যাথিও ওরেসম্যান৷ তার ধারণা, এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী জোর করে ন্যাটো সদস্যের পাঠানোর সঙ্গে এই ঘটনার একটা যোগসাজশ থাকতে পারে৷
তিনি মনে করেন, ‘‘আমার মনে হয়, সিরিয়া ও ইরান তো বটেই, এ ঘটনা দিয়ে অ্যামেরিকাকেও একটা বার্তা দিতে চেয়েছে ইইউ৷ বোঝাতে চেয়েছে, অবরোধ আরোপের পর তদারকিতেও কতটা সিরিয়াস তারা৷ পাশাপাশি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রেও যে-কোনো সময় কথা বলতে পারে ইইউ৷''
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বন্ধুরাষ্ট্র সিরিয়াকে বরাবরই তেল দিয়ে সহযোগিতা করে ইরান৷ অথচ ইরান নিজেও অবরোধের মুখে৷ গত বছর তাদের ওপর অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র৷ গত মাসে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলে ইরানের ওপর আবারো কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প৷ এমনকি বিমান হামলার প্রস্তুতি নিয়েও শেষ মুহূর্তে সরে আসেন ট্রাম্প৷
টিএম/এসিবি (রয়টার্স)