বাংলাদেশিদের ফেরত আনা প্রসঙ্গ
২০ জুন ২০১৪ইরাকের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশেও উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে৷ বিশেষ করে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা দেশে আতঙ্কের মধ্যে আছেন৷ বলা বাহুল্য, কিছু বাংলাদেশিকে অপহরণের খবরে এই আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে৷
এ অবস্থায় প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘‘প্রয়োজন হলেই আমরা সেখানকার বিপদে পড়া বাংলাদেশিদের সরকারি খরচে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো৷'' তবে এরপরও তিনি ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন৷
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ইরাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশি আছেন৷ আমরা তাঁদের খোঁজ-খবর রাখছি৷ কেউ যদি একান্ত বিপদে পড়ে দেশে ফিরে আসতে চান, তাহলে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে৷''
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ইরাকের কিরকুক থেকে যে ৬০ জন নির্মাণকর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন৷ তবে কতজন বাংলাদেশি নাগরিককে জঙ্গিরা অপহরণ করেছে, তা নিশ্চত করে এখনও জানা যায়নি৷ এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনিও তা জানাতে পারেননি৷
তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘নানা মাধ্যম থেকে খবর আসছে৷ তাই যাচাই-বাছাই না করে কিছু বলা সম্ভব নয়৷'' তবে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান যে, মসুল থেকে ৫০ জন বাংলাদেশিকে কুর্দিস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়৷ তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পালিয়ে গেছে বলে খলর৷ মন্ত্রীর ধারণা, তাঁরা অন্য কোনো দেশে চলে গেছেন৷ ফলে তাঁদের আর ইরাকে পাওয়া যাবে না৷
এদিকে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ইরাকে জনশক্তি রপ্তানি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে কোনো জনশক্তি পাঠান হবে না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে৷
সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের ১৪,০০০ নাগরিক এখন ইরাকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন৷ তাঁরা প্রধানত নির্মাণ শিল্পে কর্মরত৷
গত বছর দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ইরাকে প্রায় ৩০,০০০ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি সঝোতা স্মারক সই হয়েছিল৷ পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই শ্রমিক পাঠানোরও সব প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে৷