1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইথিওপিয়ায় জার্মানির সাত হাজার বীজের নমুনা

১২ আগস্ট ২০২০

ইথিওপিয়ায় জন্ম নেয়া অনেক ফসলের জাত হারিয়ে গেছে৷ তবে সেগুলোর নমুনা জমা ছিল জার্মানির এক বীজ ব্যাংকে৷ সম্প্রতি এমন প্রায় সাত হাজার নমুনা ইথিওপিয়ায় পাঠানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3gpFP
ছবি: Bioversity International/C. Fadda

জীববিজ্ঞানী উলরিকে লোভাসা তার তিন দর্শনার্থীকে জার্মানির ‘লাইবনিৎস ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যান্ট জেনেটিকস অ্যান্ড ক্রপ প্ল্যান্ট রিসার্চের’ মাঠ ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন৷ তারা ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবার বায়োডাইভারসিটি ইনস্টিটিউটের বীজ ব্যাংকে কাজ করেন, যা আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বড়৷ বীজের মান উন্নত করতে জার্মান গবেষকরা কী ধরনের কাজ করছেন, তা দেখতে এসেছলেন তারা৷

আয়রুসালেম আরুসি মোর্কা হাতেকলমে যা শিখছেন তা নিজ দেশে কাজে লাগাতে চান৷ আদ্দিস আবাবার বীজ ব্যাংকের ম্যানেজার তিনি৷ মোর্কা বলেন, ‘‘আমরা কেউ জানি না, কাল কী হবে৷ তাই আমরা সবসময় বায়োডাইভারসিটি রক্ষা করতে চাই৷ জীবন, খাবার, আশ্রয়, মেডিসিন রক্ষার এটা একটা উপায়৷ এটা জীবনযাপনের ভিত্তি৷ এটা বাঁচার প্রশ্ন, অন্যকিছু নয়৷’’

উলরিকে লোভাসা তার অতিথিদের বীজ ব্যাংক দেখিয়েছেন৷ সেখানে সারা বিশ্বের প্রায় দেড় লাখ জাতের বীজ আছে৷ কয়েক দশক ধরে এগুলো জোগাড় করা হয়েছে৷

জার্মানির এই বীজ ব্যাংক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলোর একটি৷

নয় বছর ধরে আদ্দিস আবাবার গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছেন লোভাসা৷

হারিয়ে যাওয়া বীজ ফিরে পেল ইথিওপিয়া

লোভাসা বলেন, ‘‘পুরানো জাতে ফসল উৎপাদন কম হয়, কিন্তু এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ভালো মানিয়ে চলতে পারে৷ খরার সময় এগুলো থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায়৷ পানির অভাবে অনেকসময় মাটিতে অম্লতা বেড়ে যায় এবং মাটিতে খনিজ ও  ভারী পদার্থ তৈরি হয়৷ এমন পরিবেশে আধুনিক জাতের চেয়ে পুরানো জাত ভালো কাজ করে৷''

ইথিওপিয়ার কৃষকদের সমস্যা নিজ চোখে দেখেছেন লোভাসা৷ সে দেশের কৃষকরা বছরের পর বছর একই ফসল ফলিয়েছেন৷ এতে মাটির গুণের পাশাপাশি উৎপাদনও কমে গেছে৷

ইথিওপিয়ায় জন্ম নেয়া অনেক ফসল হারিয়ে গেছে৷ তাই জার্মানির ব্যাংকে থাকা প্রায় সাত হাজার নমুনা সেদেশে পাঠানো হয়েছে৷

মোর্কা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে এসব বীজ উন্নয়নের কাজ করছি৷ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা গবেষক ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা তাদের কাজের জন্য এসব বীজ চাইছেন৷’’

ইথিওপিয়া থেকে আগত দর্শনার্থীরা তাদের নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানে পুরানো জাতের বীজ পরীক্ষা করে দেখতে চান৷ তারা জানতে চান, কোন বীজগুলো খরা আর অ্যাসিডিক মাটির চাপ সহ্য করতে পারে- টেকসই কৃষির জন্য যা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷

কর্নেলিয়া বরমান/জেডএইচ

২০১৫ সালের ছবিঘরটি দেখুন...