ইডির নোটিস অবৈধ, পাল্টা চিঠি কেজরিওয়ালের
২ নভেম্বর ২০২৩অবৈধ আবগারি লাইসেন্স এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেন মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবার তার ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে ইডিকে পাল্টা চিঠি দিলেন কেজরিওয়াল। নোটিস ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ওই চিঠিতে কেজরিওয়াল লিখেছেন, 'বিজেপি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে একাজ করিয়েছে। ফলে দ্রুত তা ফিরিয়ে নেওয়া হোক।' ইডি-র নোটিসকে অবৈধ এবং বেআইনি বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। তার বক্তব্য, মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে তার প্রচার বন্ধ করতেই বিজেপি একাজ করিয়েছে। ইডিকে এই চিঠি দেওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এদিন সকালেই দিল্লির আরেক মন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। তার নয়টি ঠিকানায় একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজকুমারের বিরুদ্ধেও একই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ইডি সূত্র জানিয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বস্তুত এর আগে এই মামলায় আরো দুই আপ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। সত্যেন্দ্র জৈন এবং দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এখনো জামিন পাননি। তাদের কাছে থেকে তথ্য পেয়েই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ইডি-র দাবি।
বুধবার আপের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার ইডি দপ্তরে গেলে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আপের তরফে দাবি করা হয়েছিল।
তবে এদিন সকালে কেজরিওয়ালের চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র বাঁশুরি ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ''মধ্যপ্রদেশে প্রচারে ব্যস্ত থাকলে ইডি-র কাছ থেকে সময় চেয়ে নিতে পারতেন কেজরিওয়াল। কিন্তু তার চিঠি প্রমাণ করছে, তিনি এই তদন্ত থেকে পালাতে চাইছেন।'' বিজেপির অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ইডি কেজরিওয়ালকে সমন করেছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কেজরিওয়ালকে সমন পাঠানোর নির্দেশ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলাতেই কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।