শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি
১ মে ২০১২তৈরি পোশাক শিল্পসহ ৪২টি শিল্প খাতে সর্বশেষ ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন হয়েছে জাতীয় মজুরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদের সময়ে৷ এই মজুরি বাস্তবায়নের পর তিনি স্বেচ্ছায় চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি নিশ্চিত করা যায়নি৷ এর পিছনে রাজনৈতিক চাপই প্রধান কারণ৷ তিনি বলেন, শিল্প মালিকদের একাংশ যেমন সরাসরি রাজনীতি করেন৷ তেমনি যারা করেন না তাদেরও রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে৷ আর এই ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেন৷
শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করার কারণে তাদের পরিবার যেমন বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে তেমনি অর্থনৈতিক অগ্রগতিও ব্যাহত হচ্ছে৷ আর দীর্ঘদিন এই বঞ্চনার ফলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে৷ ব্যাহত হতে পারে দেশের স্থিতিশীলতা – এমন মন্তব্য ইকতেদার আহমেদের৷
মজুরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জানান, এখন দেশের যে বাজারদর তাতে একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ৬০০০ টাকা৷ কিন্তু দেয়া হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা৷ তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের ৭০ ভাগেরই কাজের কোন মানসম্পন্ন চুক্তিপত্র নেই৷ এর ফলেও শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন