1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো সংকট

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২

গ্রিসের জন্য দ্বিতীয় দফার আর্থিক সহায়তার বিষয়ে মোটামুটি একটা বোঝাপড়ার পর ইউরো এলাকার সংকট কাটাতেও নতুন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবার আসরে নেমেছে৷ তবে কাটছে না উদ্বেগ৷

https://p.dw.com/p/14C1B
ছবি: dapd

গ্রিক সংকট

গ্রিস'কে ঘিরে যে কোনো সমাধানসূত্রের উপরই আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ সুড়ঙ্গের শেষে কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না৷ অর্থাৎ বিশাল অঙ্কের আর্থিক সাহায্য সত্ত্বেও গ্রিস কিছুতেই মাথা তুলে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না৷ কবে পারবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ তার উপর সেদেশের জন্য ১৩,০০০ কোটি ইউরোর যে আর্থিক প্যাকেজ স্থির করা হয়েছে, তার ভবিষ্যতও কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ কারণ প্রতিটি সদস্য দেশকেই এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করতে হবে৷ আজ ফিনল্যান্ড'এর সংসদ সেটি অনুমোদন করলেও জার্মানির সরকারি জোটের কয়েকজন সাংসদও গ্রিসের জন্য আর্থিক সহায়তার পক্ষে সমর্থন জানান নি৷ আবার কবে গ্রিসের সহায়তার প্রয়োজন হবে, তা নিয়ে এখন জল্পনা-কল্পনা চলছে৷

ইউরো এলাকার জরুরি তহবিল নিয়ে জটিলতা

চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত শীর্ষ সম্মেলনের পর আরেকটি বিশেষ সম্মেলনে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু জার্মানির আপত্তির কারণে তা বাতিল করতে হয়েছে৷ প্রায় ৫০,০০০ কোটি ইউরোর এই ‘রেসকিউ ফান্ড'এর সিংহভাগই জার্মানির কাছ থেকে আসার কথা৷ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে জার্মানিতে জটিলতা দেখা যাচ্ছে৷ মঙ্গলবার সেদেশের সাংবিধানিক আদালত রায় দিয়েছে, যে ইউরোজোন সংকটের মোকাবিলা করতে সংসদের এক বিশেষ কমিটির হাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা বে-আইনি৷ ইউরো এলাকায় বাজেট ঘাটতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইইউ'র বেশিরভাগ দেশ রাজি হলেও আয়ারল্যান্ড এই প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে চাওয়ার ফলেও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে৷

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক'এর পদক্ষেপ

ইসিবি বুধবার ব্যাংকগুলির জন্য অতি সহজ শর্তে প্রায় ৫৩,০০০ কোটি ইউরোর ঋণ ঘোষণা করেছে৷ এর মধ্যে প্রায় ৮০০ ব্যাংক এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার আগ্রহ দেখিয়েছে৷ গত ডিসেম্বর মাসে ইসিবি প্রায় ৪৯,০০০ কোটি ইউরোর ঋণ দিয়েছিল৷ এর ফলে ইউরো এলাকার ব্যাংকগুলির ঋণ সংকট অবশ্যই অনেকটা কমে গেছে৷ এর মাধ্যমে ইসিবি ব্যাংকগুলিকেও আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে উৎসাহ দিচ্ছে, যাতে তারা গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারে৷ এর ফলে সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্র ও অর্থনীতিরও উপকার হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য