ইউরো ২০১২
৫ জুন ২০১২একে কি অভাবনীয় পরিস্থিতি বলা যাবে? ইউকরোকাপের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির দেখা যায়নি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ সচরাচর ক্ষেত্রে ইউরোকাপে যে ধরণের উত্তেজক আর উচ্চমানের ফুটবল খেলা হয়ে থাকে তার জন্য টিকিটের হাহাকারটাই চেনা ছবি৷ এমন তো কখনো হয়না বা হয়নি যে বিশ্বসেরা মানের ফুটবল খেলা হবে, অথচ সেটা দেখার জন্য গ্যালারিতে দর্শকের অভাব থাকবে৷
কিন্তু এবারেই সেরকমটা হতে চলেছে৷ উয়েফা-র মুখপাত্র টোমাস জিওর্দানো সাংবাদিকদের মঙ্গলবার বললেন, এই মুহূর্তে বেশ কয়েক হাজার টিকিট বিক্রি হয়নি৷ কয়েক হাজার মানে কত? টোমাসের জবাব, সংখ্যাটা ১০ হাজারের ওপর৷ তাও আবার এমন সব খেলার টিকিট এখনও অবিক্রিত হয়ে পড়ে রয়েছে, যেসব খেলার টিকিটের বিপুল চাহিদা হওয়ার কথা৷ যেমন ধরা যাক, ১১ জুন তারিখে ইংল্যান্ডের এবারের ইউরোকাপের প্রথম খেলাটা৷ যেটায় তারা মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের৷
দেখা যাচ্ছে, মূলত ইউক্রেনে আয়োজিত খেলাগুলোর টিকিট বিক্রি হচ্ছে না তেমন৷ এর দু'টো কারণ দেখাচ্ছে আয়োজক সংস্থা উয়েফা৷ এক তো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছানোর প্লেনের টিকিট সহজে মেলেনা৷ যদিও বা মেলে তার দাম চড়া৷ তারপরে ইউক্রেনের পরিকাঠামো নিয়েও বিস্তর সন্দেহ রয়েছে ফুটবল ফ্যানেদের মধ্যে৷ একটা স্টেডিয়াম থেকে অন্য স্টেডিয়ামের দূরত্ব বিপুল৷ রয়েছে যানবাহনের সংকট৷ হোটেলগুলো নাকি ব্যাপক বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের ভাড়া৷ তারপরে ভাষা ইত্যাদির সমস্যা তো রয়েইছে৷ ইউক্রেনে ইংরেজি জানা লোক খুঁজে বের করাটা অনেকটা সেই খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার মতই কঠিন ব্যাপার৷
এসব কথাই শোনা যাচ্ছে চারদিকে যখন ইউরোকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র দুই তিনটে দিন৷ তবে উয়েফা মুখপাত্র টোমাস জিওর্দানি বলছেন, মোট ১.৪ মিলিয়ন টিকিট আমরা ছেপেছি৷ তার মধ্যে ১০ শতাংশ যদি বিক্রি না হয়, সেটাকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই৷ তবে তিনি আশাবাদী যে খেলা শুরু হওয়ার মধ্যে বাকি টিকিটগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে৷
তা হতেই পারে৷ তবুও, এবারের ইউরোকাপে ইউক্রেনকে পোল্যান্ডের সঙ্গে আয়োজক দেশ হিসেবে রেখে ইতিমধ্যেই বেশ সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে উয়েফা৷ ইউক্রেন আদৌ পরিকাঠামোগত দিক থেকে এই ইউরোকাপ উৎরোতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ এখনও ঘোচেনি বহু মহলে৷ দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (ডিপিএ, এএফপি)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন