ইউরোপমুখী শরণার্থীদের আটকাবে না তুরস্ক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০তবে কি আবারও শরণার্থী সংকটে পড়তে যাচ্ছে ইউরোপ? তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান এর আগেও কয়েকবার ইউরোপকে শরণার্থী ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন৷
বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহতের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ গত আট বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে৷
তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে হামলার পর শুক্রবার এর্দোয়ানের দলের মুখপাত্র ওমর কেলিক বলেন, তুরস্কের পক্ষে শরণার্থীদের ‘আর ধরে রাখা সম্ভব না'৷
সিএনএন তুর্ককে তিনি বলেন, ‘‘ওই হামলার কারণেই তুরস্কের শরণার্থীরা ইউরোপে রওয়ানা হয়েছে৷ এছাড়া যেসব শরণার্থী এখনো সিরিয়ায় আছে, তারাও তুরস্কে আসতে শুরু করেছে৷
‘‘আমাদের শরণার্থী নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, সেটা আগের মতোই আছে৷ কিন্তু এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর তাদের ধরে রাখা সম্ভব না৷''
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই প্রায় তিনশ' শরণার্থী তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওয়ানা হয়েছে বলে জানায় ডিএইচএ নিউজ৷
শরণার্থীদের ওই দলে নারী ও শিশুরাও আছে৷ তারা তুরস্কের এর্দিনে প্রদেশ থেকে রওয়ানা হয়ে বুলগেরিয়া ও গ্রিস সীমান্তের দিকে যাচ্ছে৷ শরণার্থীদের দলে সিরীয়, ইরানি, ইরাকি, পাকিস্তানি এবং মরোক্কানরা আছেন৷
২০১৫ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামার পর তাদের আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ওই চুক্তির আওতায় তুরস্ক প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷
তারপর থেকে ইউরোপের সঙ্গে যে কোনো দরকষাকষিতে এর্দোয়ান নিয়মিতই ‘শরণার্থীদের ছেড়ে' দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন৷
এসএনএল/এসিবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)