জি এইট
২০ মে ২০১২ইউরোজোন আর গ্রিস
বিশ্বের সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলির সম্মেলনে এ বছর বেশ ভালোই বিপদের ছায়াপাত৷ আর সেই ছায়া ফেলছে আর কেউ নয়, অর্থনীতি৷ তো, সে কারণেই জি এইট সম্মেলনে নেতারা যেখানে আলোচনায় বসছেন ভবিষ্যতের সুরক্ষাকে কেন্দ্র করে, সেখানে সর্বপ্রথমে উঠে আসছে ইউরোর ভবিষ্যত এবং সেইসঙ্গে ইউরোপের মধ্যে অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি মার খাওয়া দেশ গ্রিসের ভবিষ্যতকে ঘিরেও৷ তো, গ্রিসকে ইউরোজোনের বাইরে বেরোতে দিতে যে নেতারা রাজি নন, তা আবারও বোঝা গেল শিকাগোর জি এইটের আলোচনায়৷ সেইসঙ্গে শোনা গেল উন্নয়ন বজায় রাখা, আর্থিক অগ্রগতির পথ পরিচ্ছন্ন রাখা আর তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার৷
ওবামার পরামর্শ ইউরোপকে
এই জি এইট সম্মেলনে পাশ্চাত্য দুনিয়ায় ‘বড় ভাই' অ্যামেরিকার ভূমিকাখানা দারুণভাবে পালন করতে দেখা গেল বারাক ওবামাকে৷ আর্থিক সংকট, ঋণ সংকট এবং সর্বোপরি ইউরো নিয়ে সংকটে জর্জরিত ইউরোপকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বললেন, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে উন্নয়ন আর চাকরির বাজার, দুটোতেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এ দুটোই হওয়া দরকার একেবারে জরুরি ভিত্তিতে৷
ন্যাটো আর আফগানিস্তান
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চলে আসবে৷ তারপরে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কী অবস্থা হবে, কীভাবে সহায়তা করবে নাটো এবং অন্যান্য সহযোগী দেশ, ইত্যাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জি এইটের সাইডলাইনে আজ ন্যাটোর উচ্চপদস্থ কর্তাদের আর ন্যাটোভূক্ত দেশগুলির নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে শিকাগোয়৷ বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বেশ কিছু ন্যাটো সদস্য দেশের কাছে থেকে শোনা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের পর তারা আর আফগানিস্তানের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়ে চলতে চায়না৷ বরং, তাদের বক্তব্য, ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানের নিজস্ব বাহিনী নিজেদের সুরক্ষা আর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিক৷ ন্যাটোর বৈঠকে এ বিষয়টি ছাড়াও আফগানিস্তান সংক্রান্ত আরও বহু তথ্যের আদানপ্রদান হওয়ার কথা৷ এবং বলা বাহুল্য, জি এইটের এই দিক নির্দেশনা ন্যাটোর ভবিষ্যতের জন্যও একটি জরুরি পদক্ষেপ৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (এপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম