1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সতর্কতা

৪ অক্টোবর ২০১০

ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রিটেনও ইউরোপের একাধিক দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে৷

https://p.dw.com/p/PTUo
ইউরোপ ভ্রমণে সতর্কতা (প্রতীকী ছবি)ছবি: picture-alliance / OKAPIA KG, Germany

ব্রিটেনের সতর্কতা

মূলত জার্মানি এবং ফ্রান্সে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজ দেশের নাগরিকদের বাড়তি সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য৷ এই সতর্কতার মাত্রা সাধারণের চেয়ে উপরে, যাকে বলে উচ্চ সতর্কতা৷ তবে, খোদ ব্রিটেনেই সতর্কতার মাত্রা তীব্র৷ যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে যেকোন সময় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে সেখানে৷ একইসঙ্গে ইউরোপে নিরাপত্তা ইস্যুতে মার্কিন উদ্বেগের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য৷

সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রেরও

মার্কিন সতর্কতায় নির্দিষ্ট কোন দেশের কথা বলা হয়নি৷ বরং মার্কিনিদেরকে সামগ্রিকভাবে ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷ বিশেষ করে ইউরোপের পরিবহণ খাত এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর৷ তাই এই সতর্কতা৷ এতে বলা হয়েছে, ‘ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা থাকায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তার দেশের নাগরিকদের সতর্ক করছে'৷

Terroranschlag in Madrid 2004 Flash-Galerie
পরিবহণ খাতে আবারো হামলার আশঙ্কা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বলাবাহুল্য, এই সতর্কতা উচ্চ পর্যায়ের নয়৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষ মার্কিনিদের ইউরোপে ভ্রমণের সময় সতর্ক থাকতে বলেছে, তবে ইউরোপ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে না৷

আল কায়দা

পশ্চিমা গোয়েন্দাদের দাবি, জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা এবং এর মিত্ররা ইউরোপে হামলায় অংশ নিতে পারে৷ পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত জঙ্গিরা এই সংঘবদ্ধ হামলার পরিকল্পনা করছে, এদের সঙ্গে ইউরোপে অবস্থানরত কিংবা ইউরোপীয় জঙ্গিরাও রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সম্ভাব্য হামলার পেছনে ওসামা বিন লাদেন এবং শীর্ষ আল কায়দা নেতারাও জড়িত রয়েছে বলে মত মার্কিন গোয়েন্দাদের৷ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছে, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার আদলে ইউরোপে হামলা চালানো হতে পারে৷

পর্যটন খাতে বিরুপ প্রভাব

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা ইউরোপের পর্যটনখাতে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে৷ যা প্রকারান্তরে অর্থনৈতিক ক্ষতি৷ ইউরোপের দেশগুলো মূলত সেদিকটাতেই নজর দিচ্ছে৷ তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা পেট্রিক কেনেডি জানিয়েছেন, আমরা আমাদের নাগরিকদের ইউরোপ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলিনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম