ইউরেনিয়াম মজুত তিনগুণ বাড়াচ্ছে ইরান
১৪ এপ্রিল ২০২১রোববার ইরানের নাতানৎস নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে ইসরায়েল সাইবার হানা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। তার ফলে সেখানে বিদ্য়ুৎ বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রতিশোধ নিতে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তিনগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পরমাণু চুক্তির তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত করা হবে। এখন তা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা হলে ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং ইরানের পক্ষে পরমাণু বোমা বানানো অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এর প্রতিক্রিয়া ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতেও পড়তে বাধ্য। ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে অ্যামেরিকাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। বাইডেন আসার পর এই চুক্তি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এখন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনাও চলছে। এই সময়ে পরমাণু কেন্দ্রে সাইবার হানা ও তারপর ইরানের এই সিদ্ধান্তের পর চুক্তি নিয়ে আলোচনা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েল অবশ্য রোববারের সাইবার হানার দায় স্বীকার করেনি। তবে তারা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিরোধী। আর ইরানের অভিযোগ, পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ করতেই ইসরায়েল এই কাজ করেছে।
ইরানের অবশ্য দাবি, তাদের পরমাণু প্রকল্প শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য। তারা এখনো সেই দাবি থেকে সরে আসছে না।
মার্কিন প্রতিক্রিয়া
অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তারা এখনো আলোচনার পক্ষে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, কিছু উস্কানিমূলক বিবৃতি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা মনে করেন, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানই একমাত্র রাস্তা। সেই আলোচনা সরাসরি হতে পারে, আবার পরোক্ষভাবেও হতে পারে। আলোচনা হওয়াটাই জরুরি।
ইরান কী বলছে
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, তারা প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বেন। ইসরায়েল এই কাজ করেছে। তারা আলোচনা বানচাল করতে চায়। ইসরায়েলের এই আচরণ ইরান মুখ বুজে মেনে নেবে না। তারা প্রতিশোধ নেবে।
ভিয়েনায় ইরান, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা বুধবার আলোচনায় বসছেন। তারা পরমাণু চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন। গত সপ্তাহেও তারা কথা বলেছেন। সেই আলোচনা গঠনমূলক হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি, রয়টার্স)