1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংকট সত্ত্বেও চাঙ্গা পুঁজিবাজার

৩০ এপ্রিল ২০১৪

এই মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের নানাবিধ উত্তেজনা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোনো বড় সংকটের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না৷ এ দিকে আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক শিবিরগুলি তাদের নীতি তুলে ধরছে৷

https://p.dw.com/p/1Bqix
ছবি: Fotolia/pix4U

ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার উপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নিয়ে পুঁজিবাজার আশঙ্কায় ভুগছে৷ তবে জার্মানি সহ ইউরোপের অনেক দেশের সঙ্গে রাশিয়ার নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্কের কারণে শেষ পর্যন্ত মস্কোর বিরুদ্ধে কড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইউক্রেন সংকটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জ্বালানি, বিশেষ করে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি৷ এতকাল রাশিয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউক্রেন ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশকে গ্যাস সরবরাহ করে এসেছে৷ এবার বিকল্পের খোঁজ চলছে৷

ইউক্রেন সংকট সত্ত্বেও ইউরোপের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথমে ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে৷ এর মূল কারণ অ্যামেরিকা ও ইউরোপের কিছু কোম্পানিকে ঘিরে সুখবর৷ অ্যামেরিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস ক্ষেত্র ও ইউরোপে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কয়েকটি ঘটনার ফলে বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷

অন্যদিকে আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের অর্থনৈতিক গতিপথ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ ব্যয়-সংকোচ, বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপ নিয়ে ইউরো সংকট অনেকটা সামাল দেওয়া গেছে বটে, কিন্তু প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও বেকারত্বের হার কমানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো সাফল্য দেখা যাচ্ছে না৷ ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির তাদের পরিকল্পনা ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন৷ নির্বাচনে তাদের সাফল্যের উপর নির্ভর করবে, কে ইউরোপীয় কমিশনের আগামী প্রধান হবেন৷ পার্লামেন্ট ও কমিশনে নতুন নেতৃত্ব হাল ধরলে বকেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এদিকে ইউরোপীয় ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ ইবিএ ১২৪টি ব্যাংকের জন্য কড়া ‘স্ট্রেস টেস্ট'-এর ঘোষণা করেছে৷ অক্টোবর মাসে তার ফলাফল জানা যাবে৷

Deutschland Steuereinnahmen Banknoten
রাশিয়ার উপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নিয়ে পুঁজিবাজার আশঙ্কায় ভুগছেছবি: picture-alliance/dpa

ইউরো এলাকার সংকটগ্রস্ত দেশগুলির সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে৷ সংকট কাটাতে ইটালির নতুন সরকারের পদক্ষেপের প্রাথমিক ফল পাওয়া যাচ্ছে৷ ভোক্তাদের আস্থার সূচক গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু মাত্রা ছুঁয়েছে৷ সরকার করের হারও কমাচ্ছে৷ এ সবের ফলে চাহিদা বাড়বে ও মন্দা কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ বাজেট ঘাটতি কমাতে প্রাথমিক সাফল্যের পর গ্রিস আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ অন্যদিকে স্পেন মন্দা কাটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেলেও সে দেশে বেকারত্বের হার কমার বদলে উলটে আরও বেড়ে গেছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)