1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলো জার্মানি

২৫ অক্টোবর ২০২৩

বার্লিনে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/4Xzyt
Deutsch-ukrainisches Wirtschaftsforum in Berlin | Denys Shmyhal und Olaf Scholz
ছবি: John MacDougall/AFP/Getty Images

আগামী বছর জুন মাসে বার্লিনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে৷

মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও বিশ্বের অন্যান্য চলমান উত্তেজনারমাঝে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের মনোযোগ কমে যাবে বলে সে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব আশঙ্কা করছেন৷ জার্মানি সে দেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছে, যে দীর্ঘমেয়াদী সমর্থন ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি হবে না৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, রাশিয়ার হামলার মাঝে ইউক্রেন জার্মানির উপর নির্ভর করতে পারে৷ বার্লিনে জার্মান-ইউক্রেনীয় অর্থনৈতিক ফোরামের ষষ্ঠ অধিবেশনে তিনি এই মন্তব্য করেন৷ জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেকও ইউক্রেনে ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তা চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন৷ ২০২৪ সালের জুন মাসে বার্লিনে ইউক্রেনের পুনর্গঠন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে জার্মানি৷ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল সশরীরে এই সম্মেলনে যোগ দেন৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহায়তার বিপুল সম্ভাবনার কথা বলেন৷ সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তিনি বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ উল্লেখ্য, জার্মানির অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী রাইনমেটাল এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জেএসসি প্রতিরক্ষা কোম্পানির মধ্যে এক যৌথ উদ্যোগ গত সপ্তাহেই শুরু হয়ে গেছে৷ আপাতত শুধু সামরিক যান মেরামতি করলেও অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনেই কিছু অস্ত্র উৎপাদন করবে রাইনমেটাল৷ ফলে একই সঙ্গে ইউক্রেনের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা আরো জোরালো হবে বলে কোম্পানি আশা প্রকাশ করেছে৷ জার্মান শিল্প ও বাণিজ্য চেম্বারের প্রধান পেটার আড্রিয়ান বলেন, অনেক জার্মান কোম্পানি ইউক্রেনের কোম্পানিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ যুদ্ধ সত্ত্বেও অনেক বিনিয়োগ প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে বলে অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন৷

ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল অংকের অর্থের জোগান নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে৷ ইউক্রেনের উপর হামলার শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার যে অর্থ ও সম্পদ  পশ্চিমা বিশ্বে জব্দ করা হয়েছে, তার একাংশ সেই কাজে লাগানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন শ্মিহাল৷ টেলিগ্রাম চ্যানেলে তিনি এই প্রস্তাব দিয়ে লেখেন, রাশিয়া ইউক্রেনে যে অপরাধ ও ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে, যৌথ উদ্যোগে কোনো না কোনো ভাবে সে দেশকে তার মূল্য চোকাতে বাধ্য করার উপায় খুঁজে বার করতে হবে৷ জেলেনস্কি ও শ্মিহাল এখনো পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহের জন্য জার্মানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷

আসন্ন শীতকালে রাশিয়ার আরো জোরালো হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেন যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস আগেই ইউক্রেনের জন্য বিশেষ শীতকালীন প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন৷ তার মধ্যে আরো একটি পেট্রিয়ট অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেমও রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)