1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র দিতে জার্মানির উপর চাপ

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসকে ইউক্রেনের জন্য আরো সামরিক সহায়তার ডাক দিচ্ছে একাধিক সূত্র৷ এরই মাঝে শলৎস টেলিফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের কাছে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানালেন৷

https://p.dw.com/p/4GoTv
Deutschland Bundeskanzler Olaf Scholz
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসছবি: Annette Riedl/dpa/picture alliance

ইউক্রেন সংকটের শুরু থেকেই জার্মানির ভূমিকা নিয়ে দেশে-বিদেশে ক্ষোভের শেষ নেই৷ যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে ঐতিহাসিক দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে রাশিয়ার হামলার মুখে  নীতিগতভাবে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে রাজি হলেও বাস্তবে জার্মানির ভূমিকা নিয়ে হতাশা রয়ে গেছে৷ চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনকে কিছু সামরিক সরঞ্জাম দিতে রাজি হলেও সেগুলি প্রস্তুত করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে অনেক সময় লাগছে৷ অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের প্রশ্নে সরকার মনস্থির করে উঠতে পারছে না৷ বর্তমানে রুশ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানে ইউক্রেনের চমকপ্রদ সাফল্য সত্ত্বেও জার্মান সরকার ট্যাংকসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠাতে চাইছে না৷ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বার্লিন ‘দুর্বোধ্য' ভয় ও অজুহাত দেখিয়ে ইউক্রেনের ডাক উপেক্ষা করছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কিও পশ্চিমা সহযোগীদের উদ্দেশ্যে আরও সামরিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন৷

জার্মানির মধ্যেও শলৎস সরকারের উপর ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহের জন্য চাপ বাড়ছে৷ বিরোধী দল তো বটেই, সরকারের শরিক দলগুলির কয়েকজন নেতাও প্রকাশ্যে এমন দাবি জানাচ্ছেন৷ বিশেষ করে উদারপন্থি এফডিপি ও সবুজ দল আরও সাহসি পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ শলৎসের এসপিডি দলই দ্বিধা ঝেড়ে ফেলতে পারছে না৷ এ ক্ষেত্রে কোণঠাসা সরকার ‘একলা চলো রে' নীতির বদলে সহযোগী দেশেগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের উপরে জোর দিচ্ছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অবশ্য সোমবার জার্মানিসহ অন্যান্য পশ্চিমা সহযোগীদের ইউক্রেনকে যতটা সম্ভব সামরিক সহায়তা দিতে উৎসাহ দিয়েছেন৷ বার্লিনে মার্কিন দূতাবাসও এক বিবৃতিতে একই অবস্থান তুলে ধরেছে৷ ফলে শলৎস নিজেক দ্বিধার কারণে আরও বিপাকে পড়ছেন৷

এমনই প্রেক্ষাপটে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস মঙ্গলবার টেলিফোনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ মে মাসের পর আবার এমন সংলাপে শলৎস বর্তমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানসূত্রের উপর জোর দেন৷ তবে তার আগে রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং সে দেশের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে হবে৷

শলৎসের কূটনৈতিক উদ্যোগ সত্ত্বেও পুটিনের সদিচ্ছার উপর ইউক্রেন মোটেই নির্ভর করছে না৷ বরং আরও সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে রাশিয়ার সম্ভাব্য পালটা হামলা প্রতিহত করতে চায় সে দেশ৷ এ ক্ষেত্রে আকাশসীমা সুরক্ষায় আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রণালী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ জার্মানি ‘আইরিস টি' নামের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি দ্রুত হাতে পেতে চাইছে জেলেনস্কির সরকার৷ ট্যাংক সরবরাহের ক্ষেত্রেও ছয় মাস ধরে অপেক্ষা করে ইউক্রেনে জার্মানির প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে৷ জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলইয়াক এক টুইট বার্তায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বার্লিনে ‘রাজনৈতিক' সিদ্ধান্তের অভাবে এমন বিলম্ব ঘটছে৷ ফলে রাশিয়া তার ‘সন্ত্রাস' চালিয়ে যেতে পারছে এবং ইউক্রেনের মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)