1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসামের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে চোরাশিকারিদের হামলা

২১ মে ২০১০

শুক্রবার সকালে আসামের বিশ্ববিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় অভয়ারণ্যে বনরক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় চারজন চোরাশিকারি৷ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আরো দুজন৷

https://p.dw.com/p/NUJb
কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কে হাতিদের সমারোহছবি: AP

এরা এক শৃঙ্গী গণ্ডার মেরে তাদের শিং আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে অনেক দামে বিক্রি করে থাকে৷ এদের পেছনে আছে চোরা কারবারিদের এক আন্তর্জাতিক চক্র৷

শুক্রবার সকালে কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কের মিহিমুখ রেঞ্জে ঢোকে চোরাশিকারিদের ৬ জনের একটি দল৷ গুলি করে এক শৃঙ্গী গণ্ডারকে৷ কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷ গুলির শব্দে বনরক্ষীরা ছুটে যায় এবং চোরাশিকারিদের পিছু ধাওয়া করলে শুরু হয় চোরাশিকারিদের সঙ্গে বনরক্ষীদের বন্দুক লড়াই৷ আধঘন্টা গুলি বিনিময়ে বনরক্ষীদের গুলিতে নিহত হয় চারজন চোরাশিকারি৷ পালিয়ে যায় দুজন – জানান পার্কের ওয়ার্ডেন ডি.গোগোই৷ তারপর চলে তল্লাশি অভিযান হাতির পিঠে চেপে৷ পাওয়া যায় নিহত চোরাশিকারিদের কাছ থেকে রাইফেলে গুলি, জঙ্গল বুট, খাবারদাবার ও রেনকোট৷

কাজিরাঙ্গা পার্কের বনরক্ষীদের এটা হলো দ্বিতীয় সাফল্য৷ গত মঙ্গলবার সাতজন চোরাশিকারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এরা৷ চোরাশিকারিরা গাড়িতে করে এসেছিল গণ্ডারের শিং বেচতে বন্যজন্তুদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের এক আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি চক্রের কাছে৷ এই চক্র কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যের আশপাশে সর্বদা সক্রিয়৷ আসামের বনমন্ত্রী রকিবুল হোসেন বলেন, চোরাশিকারিদের মোকাবিলায় আমরা স্থানীয় গ্রামবাসি ছাড়াও সাহায্য নিয়ে থাকি সীমান্ত রক্ষী ও সেনাবাহিনীর৷

৪৩০ বর্গ কিলোমিটার কাজিরাঙ্গা পার্কে আছে বিশ্বের সবথেকে বেশি এক শৃঙ্গী গণ্ডার৷ ২০০৯-এর সেনসাস অনুযায়ী বিশ্বের তিন হাজার এক শৃঙ্গী গণ্ডারের মধ্যে ২০৪৮টি গণ্ডার আছে এখানকার জলা ও তৃণভূমিতে৷

চোরাশিকারিরা গণ্ডার মারে এর শিং-এর জন্য৷ বলা হয়, এতে আছে নাকি নানা ঔষধি উপাদান৷ জ্বর, পেটের অসুখ নিরাময় করে৷ বিশেষ আকর্ষণ সিং-এর ভেতরকার নির্যাসের কামোদ্দীপক গুণ৷ এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে গণ্ডারের শিং দিয়ে বানানো হয় শৌখিন খঞ্জরের হাতল৷ হাতির দাঁতের পরই এর চাহিদা৷ আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে এক কিলো গণ্ডারের শিং-এর দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা৷ এশিয়ার বাজারেও এর বিপুল চাহিদা৷ বন্য জন্তুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পাচার হয় নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর. মণিপুরের ইম্ফল ও পঃবঙ্গের শিলিগুড়ি দিয়ে৷ শিলিগুড়ি দিয়ে প্রথমে যায় কাঠমান্ডু এজেন্টের কাছে৷ সেখান থেকে চীনে ও মধ্যপ্রাচ্যে৷ মণিপুর সীমান্ত পথে পাচার হয় মিয়ানমারে৷ সেখান থেকে থাইল্যান্ড,ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন