আল-শিফার তলায় হামাসের সুড়ঙ্গ: ইসরায়েল
২০ নভেম্বর ২০২৩ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স(আইডিএফ) কিছু ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ ছিল। রোববার ইসরায়েলের সেনার তরফে দাবি করা হয়, হাসপাতালের ১০ ফিট নিচে ৫৫ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গ ছিল। সেখান থেকে প্রচুর অস্ত্রও উদ্ধার করেছে তারা। সুড়ঙ্গের শেষে একটি বিস্ফেরক নিরোধক দরজা আছে। তবে দরজার ওপাশে কী আছে, তা আইডিএফ জানায়নি।
হামাস জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে বলে ইসরায়েলের দাবি পুরোপুরি মিথ্যা।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রেসেন্ট ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে ৩১টি শিশু সময়ের আগেই জন্মেছিল। তাদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে দক্ষিণ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের রাফাহর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতিল বিষয়ক ডিজি মোহাম্মেদ জাকুত বলেছেন, শিশুদের মিশরে নিয়ে যাওয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে এখনো ২৯১ জন রোগী ও ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের দাবি, আল-শিফা হাসপাতাল এখন মৃত্যু-এলাকায় পরিণত হয়েছে।
পণবন্দিদের নিয়ে সমঝোতা হয়নি
গত শনিবার মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে ইসরায়েল, অ্যামেরিকা ও হামাস মতৈক্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ইসরায়েল পাঁচদিন আক্রমণ বন্ধ রাখবে। বিনিময়ে হামাস পণবন্দিদের মুক্তি দেবে।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরকম কোনো সমঝোতা হয়নি। নেতানিয়াহু বলেছেন, ''পণবন্দিদের নিয়ে প্রচুর গুজব ছড়াচ্ছে। অধিকাংশ রিপোর্টই সত্য নয়। এখনো পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি।''
হোয়াইট হাউসে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''আমরা সমঝোতা করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এখনো কিছু হয়নি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।''
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)