আরো ২৮০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে
৮ মে ২০২০স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, নৌবাহিনী ২৮০ জনকে বহনকারী নৌকাটি উদ্ধার করে৷ নারী, শিশুসহ তাদের সবাইকেই ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দুই সপ্তাহের জন্য তাদেরকে কোয়ারান্টিনে রাখা হবে৷’’
এদিকে তাদের উদ্ধারকারী নৌবাহিনী দলের এক সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন সমুদ্রে ভাসমান রোহিঙ্গারা ক্ষুধার্ত ছিল৷ তারা তাদেরকে খাদ্য এবং পানি সরবরাহ করেছেন৷ ‘‘এখন তাদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টিনে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে৷ পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকার নিবে,’’ জানিয়েছেন তিনি৷
এর আগে গত দুই এপ্রিল ২৯ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী নুনিয়াছড়া প্যারাবন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ তাদের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সাগর পথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া এলাকায় নামিয়ে দেয় দালাল চক্র৷ উদ্ধারের পর তাদেরকেও নৌবাহিনীর কোস্টগার্ডের সহায়তায় ভাসানচরে পাঠানো হয়৷
সেই সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সরকারের নির্দেশনা হলো ক্যাম্পের বাইরে যাদেরই ডিটেক্ট করা হবে তাদেরই ভাসানচরে পাঠানো হবে৷ সেোখানে তারা সরকারি ব্যবস্থাপনায়ই থাকবে৷ সংখ্যা বাড়লে তখন আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কথা বলব৷’’
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার দ্বীপ ভাসানচরে সরকার দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে৷ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এরইমধ্যে সেখানে অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে৷ নির্মাণ করা হয়েছে এক হাজার ৪৪০টি একতলা ভবন ও ১২০টি চারতলা আশ্রয়কেন্দ্র৷
তবে শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিরোধিতা করে আসছিল৷ এক পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা বাদ দেয় সরকার৷ তবে সাগর থেকে উদ্ধারকৃতদের এখন সেখানে পাঠানো শুরু করেছে সরকার৷
কয়েক সপ্তাহ আগে পাচারকারীদের সহায়তায় সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পৌছানোর চেষ্টা করে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা৷ তাদেরকে আশ্রয় দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছিল মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সরকার৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)