1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরেকটি বুচা হতে দেব না: বেয়ারবক

৩ জুন ২০২২

ইউক্রেনে আরেকটি বুচা হতে দেয়া যাবে না। রাশিয়া না থামা পর্যন্ত কিয়েভকে অস্ত্র দেয়া হবে, জানালেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

https://p.dw.com/p/4CE9b
বুচায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন বেয়ারবক।
বুচায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন বেয়ারবক। ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance

সম্প্রতি একটি জার্মান সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লিখেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। সেখানে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে জার্মানি। প্রয়োজনে আরো অস্ত্র দেওয়া হবে। রাশিয়া এর আগে বুচার যা অবস্থা করেছে, তা অবিশ্বাস্য। আরো একটি বুচা হতে দেয়া যাবে না।

বুচায় গণকবর মিলেছিল বলে দাবি ইউক্রেনের। বেয়ারবক কিয়েভ সফরে গিয়ে রাজধানীর অদূরে বুচায় সেই জায়গা দেখেও এসেছেন। বেয়ারবক বলেছেন, জার্মানি শান্তির পক্ষে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্রে পৌঁছানোর পক্ষে। কিন্তু রাশিয়া সে ভাষা বুঝতে চাইছে না। যতদিন যুদ্ধ চলবে, ততদিন ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপরেই তার বক্তব্য, শান্তি বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। সেই শান্তির লক্ষেই ইউরোপ ইউক্রেনে অর্থ ঢালছে। ইউক্রেনের স্বাধীনতা মানে গোটা ইউরোপের স্বাধীনতা।

এবার লক্ষ্য স্লোভিয়ানস্ক

পূর্ব ইউরোপের স্লোভিয়ানস্ক শহরে এবার লাগাতার আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, বোমাবর্ষণের ফলে স্লোভিয়ানস্কের বিদ্যুৎ এবং জলের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেয়র দ্রুত নাগরিকদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার আক্রমণে তিনজন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এএফপি-র কাছে এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন। আহত ছয়। এরপরই পাঁচটি মিনিবাসে করে বহু মানুষ অন্যত্র পালিয়েছেন বলে এএফপি জানিয়েছে।

সিভিয়েরোদনেৎস্কের পরিস্থিতি

চলতি সপ্তাহে সিভিয়েরোদনেৎস্কে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এই শহরটি কার্যত দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। বস্তুত, পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক শহর এখন রাশিয়ার দখলে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও তা মেনে নিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, সিভিয়েরোদনেৎস্কের পরিস্থিতি আগের চেয়ে সামান্য ভালো। সেখানে ইউক্রেনের সেনা খানিকটা জমি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।

তবে সামগ্রিকভাবে পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্তিতি আগের মতোই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তার বক্তব্য, রাশিয়া শহরগুলিকে কার্যত ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে। লাগাতার বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে ওই অঞ্চলে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সম্প্রতি অ্যামেরিকা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দিয়েছে ইউক্রেনকে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন, ইউরোপের দেশগুলির কাছ থেকেও তিনি অস্ত্র সাহায্য পাবেন। আধুনিক অস্ত্র পেলে রাশিয়াকে ঠেকানো যাবে বলে তার অভিমত।

 রাশিয়া ও বেলারুশের আরো সংস্থা কালো তালিকায়

অ্যামেরিকা রাশিয়ার আরো ৭১টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। অর্থাৎ, এই সংস্থাগুলি অ্যামেরিকায় কোনো ব্যবসা করতে পারবে না। বেলারুশের আরো কিছু সংস্থাকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন তালিকায় বিমান তৈরির সংস্থা, জাহাজ বানানোর সংস্থা এবং কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে বলে জানা গেছে।

খাবার নিয়ে আলোচনা

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আফ্রিকার গরিব দেশগুলি। রাশিয়া এখনো কৃষ্ণ সাগরে অবরোধ তৈরি করে রেখেছে। খাদ্যশস্য বোঝাই বহু জাহাজ তাই সেখানে আটকে। কৃষ্ণসাগরের এই অঞ্চলটিকে বিশ্বের ব্রেড বাস্কেট বলে চিহ্নিত করা হয়।

ইস্তামবুলে এবার এই বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। কীভাবে খাদ্য সংকট কমানো যায়, তা নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা থাকবেন। থাকবেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিও। তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই বৈঠক হবে বলে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)