আরজি কর কাণ্ডের ৩০তম দিনে শিল্পী, রিকশা চালক, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ
আরজি কর কাণ্ডের ৩০তম দিনে আবার পথে নামলো কলকাতা। প্রতিবাদ করলেন সাধারণ মানুষ। আবার রাত দখল হলো।
হাতে টানা রিকশা চালকদের প্রতিবাদ
প্রথম থেকেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রোববার সেই ধারা বজায় রেখে কলকাতার হাতে টানা রিকশ চালকেরাও প্রতিবাদ জানালেন। নিজেদের রিকশায় 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' লেখা পোস্টার লাগিয়ে মধ্য কলকাতার রাস্তা দিয়ে হাঁটলেন। এই গরিব মানুষেরাও নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে সামিল হলেন।
হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট
হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত তারা রিকশা টেনে নিয়ে যান। তারপর কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। এই রিকশা চালকরা জানান, তাদের ঘরেও মা-বোন আছেন। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা থামবেন না।
প্রতিবাদ ছড়াচ্ছে
আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ ছড়াচ্ছে। তাতে যোগ দিচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ, সব পেশার মানুষ। অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন তারা। ব্যবস্থা বদলের দাবি করছেন। তারা ন্যায় চাইছেন।
শিল্পীদের প্রতিবাদ
রোববার বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন চিত্রকররাও। তাদের বিক্ষোভ দেখানোর অস্ত্র ছিল রং-তুলি। তারা রাস্তায় বসে এঁকে গেছেন। তাদের প্রতিবাদের ভাষা মূর্ত হয়েছে পথে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ।
বিভিন্ন জায়গায়
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শিল্পীরা এই প্রতিবাদের ছবি ছড়িয়ে দিয়েছেন। শ্যামবাজার, সিঁথির মোড়, যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড সর্বত্র।
মৃৎশিল্পীরা প্রতিবাদে
কলকাতার কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরাও প্রতিবাদ জানাতে পতে নেমেছিলেন। আর একমাস পরে দুর্গাপুজো। এই সময়ে তাদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু তারা সেই কাজ ফেলে রেখে প্রতিবাদ করেছেন।
পরিবারের মানুষও
শুধু মৃৎশিল্পীরাই নন, তাদের পরিবারের মানুষও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা যত পথ হেঁটেছেন, ততই বিক্ষোভের যোগ দেয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
প্রতিবাদের ভাষা যেখানে গান
প্রায় সব বিক্ষোভেই প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠছে গান। গানের মধ্যে উঠে আসছে প্রতিবাদের স্বর। সেই গানে গলা মেলাচ্ছেন সকলে। এই গণ-প্রতিবাদে গান একটা বড় ভূমিকা পালন করছে। গান ছাড়াও পথনাটক করে, কবিতা বলে মানুষ প্রতিবাদ করছেন।
বিশাল মানববন্ধন
সোদপুর থেকে শ্যামবাজার। প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা। সোদপুর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত রোববার সন্ধ্যায় তৈরি হলো মানববন্ধন। হাতে হাত মিলিয়ে মানুষ আবার এতটা রাস্তা-জুড়ে প্রতিবাদ দেখালেন।
হাতে হাত
হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। বঙ্গসন্তানদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন এই সর্দারজিও। সব বয়সের, সব শ্রেণির মানুষের এই সমবেত প্রতিবাদের জোরালো বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এতদিন ধরে
আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ৩০ দিন হয়ে গেলো। এতদিন ধরে সাধারণ মানুষ সমানে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। প্রতিবাদ ছড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ, সেখান থেকে সারা ভারত, তারপর গোটা বিশ্বে। একের পর এক মানববন্ধন, একের পর এক বিক্ষোভ, একের পর এক প্রতিবাদে একটা কথাই উঠে এসেছে, আর এরকম অত্যাচার, অবিচার সহ্য করা হবে না। দোষীদের শাস্তি চাই।
বিদেশের প্রতিবাদ
শুধু কলকাতা নয়, রোববার বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি শহরে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছেও। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি-সহ ইউরোপের নানা দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড-সহ অনেক দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। উপরে জার্মানির কোলন শহরে প্রতিবাদের ছবি।