আরও অনেক প্রাণী ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগুচ্ছে
২৭ অক্টোবর ২০১০বিজ্ঞানীরা বিপন্ন প্রজাতির এক লাল তালিকা তৈরি করেছেন৷ তাঁরা বলছেন, এতোদিন যেমনটা ভাবা হতো তার চেয়ে বেশি অনুপাতে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে বহু প্রাণী ও গাছগাছালি৷ তবে তাঁরা একথাও বলেছেন, ব্যাপক সংরক্ষণ ব্যবস্থা ইতোমধ্যে কিছু প্রজাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে ফিরিয়েও এনেছে৷
জাপানে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য শীর্ষসম্মেলনে এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে৷ প্রকৃতির কিভাবে আরও সুরক্ষা করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধিরা আলোচনা করছেন৷ জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য কনভেনশনের বৈঠকে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়, উভচর প্রাণীরাই সবচেয়ে বিপন্ন৷ কেননা বিলুপ্তি হবার ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের একচল্লিশ শতাংশই উভচর প্রাণী৷ লাল তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিপন্ন পাখিদের হার কেবল তেরো শতাংশে৷ এ বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রখ্যাত পরিবেশবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসন বলেন, ‘‘জীববৈচিত্র্যের প্রধান অবলম্বনই ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে৷''
প্রাণীকুল ধ্বংস হচ্ছে বিশ্বের যেসব অঞ্চলে, তার মধ্যে এগিয়ে আছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, যেখানে চাষাবাদের জমির জন্য এবং জ্বালানি হিসেবে গাছপালা ব্যবহার করতে গিয়ে বনকে বন উজাড় করে ফেলা হচ্ছে৷
গবেষণামূলক এই সমীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন, বিভিন্ন সংরক্ষণ কর্মসূচি যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তার নতুন কিছু প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন৷ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স'৷
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্পীশীজ সার্ভাইভাল কমিশনের সভাপতি সাইমন স্টুয়ার্ট বলেন, ‘‘সংরক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্বীপবাসী অনেক পাখিকে আমরা ফিরে পেয়েছি৷ এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে৷''
একই বিষয়ে আরেকটি গবেষণামূলক সমীক্ষা করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, বহু প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ঠিকই৷ এই প্রবণতা সত্ত্বেও ভবিষ্যতে প্রকৃতি সংরক্ষণের আরও বেশি উদ্যোগও গ্রহণ করা হবে বলে তাঁরা মনে করেন৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক