আমার বিরুদ্ধেও চুরির মামলা দেন
১৭ মে ২০২১রোজিনা দেশের সাংবাদিকতার সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখের একটি৷ সরকারের ভেতরের বাইরের অনেক তথ্যই তার কারণে আমরা জানতে পেরেছি৷ করোনা সংকটের এই সময়ে রোজিনা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন৷ আমাদের ধারণা আরো হয়তো করতেন৷ এই রোজিনাই কিন্তু সোনার মেডেলে খাদ মেশানোর কথা আমাদের জানিয়েছিলেন৷ এর পুরস্কার তিনি আজ পেলেন৷ তাকে চুরির দায়ে আটকে রাখা হলো৷ আমি যখন লিখছি, তখনও তিনি পুলিশের কাছে আটক রয়েছেন৷
দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণ পড়ে জানলাম, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে বিকেল তিনটার দিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রোজিনা ইসলামকে ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আমার কোনো চাওয়া নাই, দাবি নাই, এই সরকারের কাছে আমার কোনো প্রত্যাশা নাই৷ আমি শুধু বলতে চাই, আমিও রোজিনার মতো অপরাধী৷ আমার বিরুদ্ধেও মামলা দেন৷ জুলাইয়ে দেশে আসবো তখন আমাকেও গ্রেপ্তার করেন৷ সরকারি নথি গোপনে দেখার অপরাধ আমিও করেছি৷
ঢাকার নয়টি হাসপাতালের কেনাকাটার অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে ডয়চে ভেলেতে চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনগুলো একটি সরকারি নথির ভিত্তিতেই করা হয়েছে। সেটিও আমরা চুরি করেছি। রোজিনার বিরুদ্ধে চুরির দোষে মামলা হলে আমার বিরুদ্ধেও সেই নথি চুরির মামলা দেন।