1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমাজন, বাণিজ্য ইস্যুতে উত্তপ্ত জি-৭ সম্মেলন

২৪ আগস্ট ২০১৯

এত মতভিন্নতা নিয়ে কখনই শীর্য সম্মেলনে বসেনি জি-সেভেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ, ব্রেক্সিট, জলবায়ু সংকট, আমাজনের আগুন, নানা বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত হতে চলেছে ফ্রান্সের বিয়ারিৎসে আয়োজিত এবারের জি-সেভেন সম্মেলন৷

https://p.dw.com/p/3OQja
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক সতর্ক করেছেন, ‘‘মুক্ত বিশ্বের সামনে এবারের সম্মেলন এক কঠিন পরীক্ষা৷''ছবি: Reuters/C. Hartmann

তিন দিনের সম্মেলন শেষে বিশ্বনেতারা এই সব ইস্যুতে একমত হবেন, এমন আশা নিয়েই শনিবার উত্তর ফ্রান্সে শুরু হয়েছে এ বছরের জি-সেভেন সম্মেলন৷

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এবারের সম্মেলনই হতে পারে ‘রাজনৈতিক একতায় পৌঁছানোর শেষ সুযোগ'৷ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে টুস্ক বলেন, ‘‘মুক্ত বিশ্ব ও এর নেতৃবৃন্দের জন্য এবারের সম্মেলন এক কঠিন পরীক্ষা৷''

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনে তার অন্যতম লক্ষ্য ‘সব নেতাদের এটা বোঝানো যে, পারস্পরিক উত্তেজনা, বিশেষ করে বাণিজ্য সংকট, সব দেশের জন্যই ক্ষতিকর৷'

এদিকে প্রতি বছরের মতোই এবারও সম্মেলনস্থলের বাইরে জড়ো হয়েছেন প্রতিবাদকারীরা৷ বিয়ারিৎসের পাশের শহর হেনদায়েতে জি-সেভেনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক ও পরিবেশ নীতি পালটানোর দাবিতে চলছে বিক্ষোভ৷ জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য ইস্যুতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তাদের৷

বাণিজ্য সংকটের কেন্দ্রে ট্রাম্প

ফ্রান্সে জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে বিমানে ওঠার ঠিক আগেই ফ্রান্সকে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর ডিজিটাল কর বসানোর পালটা প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি ওয়াইনের ওপর নতুন কর বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি৷

ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট টুস্ক অবশ্য দ্রুতই পালটা জবাব দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ‘হুমকি বাস্তবায়ন করলে', ইইউ একই ধরনের ‘পালটা জবাব দিতে প্রস্তুত'

G7 Proteste Frankreich
জি-সেভেনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক ও পরিবেশ নীতি পালটানোর দাবিতে চলছে বিক্ষোভছবি: AFP/G. Gobet

স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে এরই মধ্যে ফ্রান্সে পৌঁছেছেন তিনি৷ শনিবার বিকেলে ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানোর কথা রয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের৷

সম্মেলনের আগে আগেই বিভিন্ন কর বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ চরম রূপ নিয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সংকটকেই পৃথিবী জুড়ে চলতে থাকা অর্থনৈতিক ধীরগতির অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে আবার অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়তে হতে পারে পৃথিবীকে৷

আমাজন নিয়ে সরব মাক্রোঁ

এ বছরের আলোচ্যসূচিতে দক্ষিণ অ্যামেরিকার আমাজনে জ্বলতে থাকা দাবানলও একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইইউয়ের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকিও দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ৷

মাক্রোঁ বলেন, ‘‘আগুন থামাতে এবং পুনরায় বনায়নে শুধু আহ্বানই জানাবে না, আমাজোনিয়া অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে৷''

মাক্রোঁর এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও৷ তবে সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও ব্রাজিল-ইইউ মেরকসুর চুক্তি বাতিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ম্যার্কেল৷

এক ভিডিও বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করবো, স্পষ্ট বার্তা জানাবো যে রেইনফরেস্টটিকে বাঁচাতে সাধ্যের সবকিছুই করতে হবে৷''

এডিকে/ জেডএ (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য