আনা ফ্রাংককে নিয়ে ছবি
২০ জানুয়ারি ২০১৪দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের হাত থেকে বাঁচতে পরিবারের সঙ্গে জার্মানি ছেড়ে পাশের দেশ নেদারল্যান্ডসে চলে গিয়েছিল আনা ফ্রাংক৷ জার্মান-ইহুদি পরিবারের ছোট্ট একটি মেয়ে তখন নিজে দেখেছে যুদ্ধের নির্মমতা, বীভৎসতা৷ আমস্টারডামে একটি বাসায় আত্মগোপন করে থাকার সময় থেকে যা দেখেছেন ১৫ বছর বয়সে নাৎসিদের হাতে নিহত হবার আগ পর্যন্ত যতদিন সম্ভব হয়েছে তার সবই ডায়েরিতে লিখে গেছে আনা৷ হৃদয়স্পর্শী বর্ণনায় লেখা সেই ডায়েরি আজও আবেগাপ্লুত করে পাঠকদের৷
সেই ডায়েরির বর্ণনাকে পুঁজি করেই নতুন ছবি তৈরির কাজে হাত দিচ্ছেন জার্মান প্রযোজক অলিভার ব্যারবেন৷ খবরটি জানিয়েছে জার্মানির ম্যাগাজিন ‘ডেয়ার স্পিগেল'৷ আনা ফ্রাংককে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে৷ তবে আশ্চর্যের ব্যাপার, এখনো পুরোপুরি জার্মান ভাষায় একটাও ছবি হয়নি৷ এ কারণেই আগামী গ্রীষ্ম থেকে জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল জেডডিএফ-এর জন্য নতুন একটি ছবির কাজ শুরু করছেন ব্যারবেন৷
বিশ্বখ্যাত উপন্যাস বা বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ নতুন কিছু নয়৷ আনা ফ্রাংককে নিয়ে ব্যারবেনের নতুন প্রযোজনাকে অনেকের কাছে তাই খুব গতানুগতিক মনে হতে পারে৷ তবে জেডডিএফ-কে উদ্ধৃত করে স্পিগেল জানিয়েছে, ছবিটি হবে আনা ফ্রাংককে নিয়ে নির্মিত আগের ছবিগুলোর চেয়ে আলাদা৷ ব্যারবেন জানিয়েছেন, এ ছবিতে নাৎসিরা নেদারল্যান্ডস দখল করার পর আনা ফ্রাংকের পরিবারকে ধরে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যায়, সেখানে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয় কিশোরী আনাকেও – এসব বিষয় অবশ্য ছবির বাইরেই রাখা হবে৷ তাঁর মতে, এ সব সবার জানা বিষয় এবং এগুলো না দেখালে কোনো ক্ষতি হবে না৷ আনার ১৫ বছরের জীবনের শেষ পাঁচ বছর, অর্থাৎ ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই দেখানো হবে ছবিতে৷ সুতরাং এমন কিছুই দেখা যাবে যা আগের ছবিগুলোতে হয়ত আসেনি৷
নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর জার্মানিতে টেলিভিশনে দেখানো হবে ছবিটি৷ ডিভিডি তৈরি করে তা ছাড়া হবে বাজারেও৷ আর চাইলে আমরা, আপনারা সকলেই বিনা মূল্যে পেতে পারি সেই ডিভিডি, দেখে জানতে পারি আনা ফ্রাংকের কথা৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)