1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সমালোচনা করলেন ট্রাম্প

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)১২ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া থেকে সরাসরি গ্যাস আমদানির জন্য পাইপলাইনের বদলে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর জন্য জার্মানির উপর চাপ সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প৷ ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে জার্মানি সেই অভিযোগ খণ্ডন করেছে৷

https://p.dw.com/p/31JZi
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি যে বাকিদের জন্য এত অস্বস্তিকর হতে পারে, কয়েক বছর আগেও এমনটা কল্পনা করা যেতো না৷ কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন৷ ন্যাটোর উপযোগিতা নিয়ে এখন আর প্রশ্ন না তুললেও সদস্য দেশগুলির উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন তিনি৷ ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় তিনি নিজের দেশের ব্যয়ভার কমিয়ে বাকিদের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ডাক দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প৷

বিশেষ করে জার্মানির বিরুদ্ধে বিষোদগার বেড়েই চলেছে৷ এবারের ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগেই তিনি এক জনসভায় জার্মানির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন৷ ব্রাসেলসে খোদ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও সেই সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি৷ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর দাবি ছাড়াও তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে জ্বালানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার অভিযোগ করেছেন৷ এমনকি রাশিয়া জার্মানিকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে তির্যক মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷

দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে জার্মানি আগেই ২০২৪ সাল বা তার পরে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ তবে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ মানতে নারাজ আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাল্টিক সাগরের নীচ দিয়ে রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত যে গ্যাস পাইপলাইন বসানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে সম্পাদিত হচ্ছে৷ অতএব তাঁর সরকার সেই খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করছে না, যা প্রতিরক্ষা খাতে ধার্য করা যেতে পারে৷ 

বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পেতে পারে৷ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সব সদস্য দেশের জাতীয় গড় আয়ের ২ শতাংশ প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয় করার কথা৷ বাস্তবে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে৷ ট্রাম্প সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার ডাক দিচ্ছেন৷ তিনি ক্ষমতায় আসার পর ন্যাটো দেশগুলি নড়েচড়ে বসেছে বলে বুধবার রাতে এক টুইট বার্তায় দাবি করেন ট্রাম্প৷ তাঁর বক্তব্য, তাঁর কার্যকালে সদস্য দেশগুলি কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে৷ তবে তা এখনো যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি৷ অ্যামেরিকা অতিরিক্ত ব্যয় করছে বলে মনে করেন তিনি৷

এবারের সম্মেলনে আফগানিস্তান ও ইউক্রেনের পরিস্থিতিও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও ইউক্রেনের পেট্রো পোরোশেংকো বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে আসছেন৷ আফগানিস্তানে দীর্ঘদিনের যুদ্ধের অবসান চায় ন্যাটো৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ আপাতত ২০২৪ সাল পর্যন্ত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর অর্থায়ন চালিয়ে যেতে চান৷ তিনি এই মর্মে উপস্থিত নেতাদের সম্মতি আদায় করতে চান৷

ন্যাটো সম্মেলনের পর ট্রাম্প ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ ন্যাটোর তুলনায় সেই অভিজ্ঞতা অনেক সহজ হবে বলে আগেই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প৷ ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষার মতো বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বেড়ে চলা সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই শীর্ষ বৈঠক বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷