বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথা
৫ জানুয়ারি ২০১৪২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে দুশ্চিন্তা৷ তীব্র গরমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কীভাবে বিশ্বকাপের মতো আয়োজন সম্ভব, ফুটবল বিশেষজ্ঞরা সেটা ভেবেই পাচ্ছেন না৷ এক পর্যায়ে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফাও এ নিয়ে ভাবতে শুরু করে৷ আয়োজক কাতার অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছে, স্টেডিয়ামে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকবে, সুতরাং চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ কিন্তু শুধু স্টেডিয়ামে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করলে হবে কেমন করে? ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন দেখতে তখন কাতারে ভিড় জমাবে অসংখ্য বিদেশি ফুটবলামোদী৷ তাই রাস্তা, ফ্যানজোন, সুপারমার্কেটেও তাঁদের জন্য গরম থেকে বাঁচার ব্যবস্থা রাখা দরকার৷ শুক্রবার কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা নাসের আল-খাতার জানিয়েছেন, সেসব এলাকাতেও শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে এবং শীত, গ্রীষ্ম যখনই হোক না কেন, বিশ্বকাপ আয়োজনকে নির্বিঘ্ন, নিরাপদ করে দেখাবে তারা৷
ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসে জুন-জুলাইয়ে৷ কাতারে তখন ভয়াবহ গরম৷ তাই ফিফা ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো অন্য সময়, অর্থাৎ কাতারে শীত শুরু হবার পরে শুরু করার বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে৷ এ নিয়ে আলোচনাও চালাচ্ছে আয়োজক দেশটির সঙ্গে৷ নাসের আল-খাতার জানিয়েছেন, যে কোনো মৌসুমে আয়োজন সার্থক করার জন্যই কাজ করছেন তাঁরা৷ একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে এবং এ বছর আরো পাঁচটি স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে জানিয়ে কিছু সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন তিনি৷
কাতারে বিদেশি নির্মাণ শ্রমিকদের তীব্র গরমের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় – আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসা এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করেননি কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা নাসের আল-খাতার৷ বরং এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় সংবাদমাধ্যমের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, সরকার পরিস্থিতির উন্নতি সাধনের জন্য সব চেষ্টাই করবে৷ তাঁর মতে, কাতার প্রকৃতির প্রতিকুলতাকে জয় করে সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে, তাতে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে আগ্রহী এমন সব দেশেরই সহযোদ্ধার মতো পাশে থাকা উচিত৷ তিনি মনে করেন, কাতার সাফল্য পেলে সেইসব দেশের আয়োজক হবার দাবি জোরালো হবে, কাতারের কাছ থেকে তারাও সব প্রতিকূলতা জয় করার শিক্ষা নিতে পারবে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)