অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু
২৮ আগস্ট ২০১৫ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-ও অবশেষে স্বীকার করেছে যে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে যে সংকট চলছে তা মোকাবিলায় এখনো পর্যন্ত তারা ব্যর্থ৷ পাশাপাশি অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর কৌশল থেকে বেরিয়ে এসে সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপের কথাও উঠেছে৷ নতুন কিছু পরিকল্পনা প্রণয়নের অঙ্গীকারও করেছেন ইইউ নেতারা৷ তবে সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই এসেছে ভাগ্যান্বেষণে ইউরোপে এসে আরো কিছু মানুষের করুণ মৃত্যু বরণ করার খবর৷ এবার অস্ট্রিয়ায়৷ হাঙ্গেরির সীমান্তের কাছের একটি ছোট্ট শহরের রাস্তায় ফেলে যাওয়া ট্রাক থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল, বাতাস ভারি হচ্ছিল দুর্গন্ধে৷ বৃহস্পতিবার হিমায়নের সুবিধা সম্পন্ন ট্রাকটি খুলে ৭০টি গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়৷ অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে শুক্রবার৷
ট্রাকটি হাঙ্গেরি থেকে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ভিয়েনার দিকে যাচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ কবে থেকে সেটা হাইওয়ের পাশে পড়ে ছিল এ সম্পর্কে গোয়েন্দারা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি৷ বু্রগেনলান্ড প্রদেশের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফরেনসিক বিভাগের কর্মীরা বৃহস্পতিবার সারা রাত প্লাস্টিকের ব্যাগে করে পচে গলে যাওয়া লাশগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজ করেছেন৷
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর এমন করুণ মৃত্যুর খবর জেনে বলেছেন, ‘‘আমাদের জন্য এটা আরেকটা সতর্কবার্তা৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে চলমান সঙ্কট যে দ্রুত সুরাহা করা দরকার – এটা সবাইকে বুঝতে হবে৷'' বৃহস্পতিবার বলকান নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক উপলক্ষ্যে অস্ট্রিয়া সফরের সময় তিনি এ কথা বলেন৷
আরেক খবরে জানা যায়, লিবিয়া উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ায় দু' শ-রও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ডুবে যাওয়া নৌকা দুটিতে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিকই বেশি ছিল, আর ছিল পাকিস্তান, সিরিয়া, মরক্কো এবং বাংলাদেশের নাগরিক৷ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশ মানুষ নিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে লিবিয়ার জুয়ারা শহরের কাছেই নৌকা দুটি ডুবে যায়৷
ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া নৌকা দুটি থেকে এ পর্যন্ত ২০১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অনেকেই এখনো আটকা পড়ে আছেন৷ উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৪৭ জনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে লিবীয় পুলিশ৷
এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)