আফ্রিকার এ সাফারি পার্কগুলো কেন সেরা?
রেইনফরেস্ট, মরুভূমি সবকিছু মিলিয়ে যেন অপার সৌন্দর্য্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে আফ্রিকা৷ এ সুন্দরের মাঝে আছে প্রায় ৩০০ সাফারি পার্ক৷ আফ্রিকার সেরা কিছু সাফারি পার্ক নিয়ে এই ছবিঘর...
সেরেনগেটি ন্যাশনাল পার্ক, তাঞ্জানিয়া
প্রায় ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই পার্কটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাফারি পার্ক৷ মার্চ-এপ্রিলে যখন বর্ষাকাল শুরু হয়, তখন হাজার হাজার বন্য প্রাণীর মিলনমেলা বসে এখানে৷
আম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্ক, কেনিয়া
কিলিমাঞ্জারো পর্বতের পাদদেশের এ পার্কটি কেনিয়ার সবচয়ে বড় সাফারি পার্ক৷ নানা রকমের বন্য হাতির জন্য এই পার্কটি বিখ্যাত৷
কুইন এলিজাবেথ পার্ক, উগান্ডা
প্রকৃতি আর বন্য প্রাণী- দুয়ে মিলে যে সৌন্দর্য, তা উপভোগ করতে চাইলে চলে যান উগান্ডার এই পার্কে৷ এ সৌন্দর্য উপভোগের জন্যও রয়েছে বাহারি ব্যবস্থা৷ পার্কের তীর ঘেঁষে পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট কুটির৷
ভলকানোস ন্যাশনাল পার্ক, রুয়ান্ডা
প্রায় ১২ প্রজাতির গরিলা আছে এই রেইনফরেস্টটিতে৷ আর তাই পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে সেখানে৷ গভীর রেইনফরেস্টের মধ্যে গরিলার দেখা পেতে কার না ভালো লাগে!
কুর্গার ন্যাশনাল পার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা
বনের সেরা পাঁচ নাকি সিংহ, হাতি, গণ্ডার, মহিষ ও চিতা৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এই পার্কটিতে সবই আছে৷ প্রাণী সংরক্ষকরা জানান, এই পার্কে শুধু সিংহই আছে ১৫০০৷
ভিক্টোরিয়া ফলস পার্ক, জিম্বাবোয়ে
প্রাণীর বৈচিত্র্যময়তা দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়লে তার বিকল্পও আছে আফ্রিকাতে৷ সেটি হলো জিম্বাবোয়ের ভিক্টোরিয়া ফলস পার্ক৷ জিম্বাবোয়ে ও জাম্বিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এ পার্কটিতে আছে বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাত৷ প্রায় ১৭শ’ মিটার উপর থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে এখানে৷
সাংগানেব মেরিন ন্যাশনাল পার্ক, সুদান
সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণের আনন্দ পেতে চাইলে সুদানের এই পার্কটি হতে পারে একটি চমৎকার গন্তব্য৷ এখানকার স্বচ্ছ পানির নীচে দেখা মেলে নানা ধরনের সামুদ্রিক প্রবালের৷ অপার সৌন্দর্যের কারণে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছে৷
তাসিলিন আজ্জের ন্যাশনাল পার্ক, আলজেরিয়া
সাহারা মরুভূমির পাদদেশে অবস্থিত এ মালভূমিটিতে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার বছর আগের খোদাই করা পাথরের সমাহার৷ এই এলাকাটিতে বাস করে টুয়ারেগ নামের এক যাযাবর গোষ্ঠী৷তাঁদের আতিথেয়তাও মুগ্ধ করে পর্যটকদের৷
নামিব-নাউক্লুফ্ট পার্ক, নামিবিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন মরুভূমিটি এখানে৷ উটের সিংয়ের মতো দেখতে মৃত গাছগুলোকে প্রায় একশ’ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে৷