1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবল ফেডারেশন প্রধানে বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ 

৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান এবং কোচদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় মহিলা দলের দুই খেলোয়াড়৷ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা৷ তবে অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

https://p.dw.com/p/39MR2
Frauenfussballerin Khalida Popal
ছবি: Khalida Popal

আফগানিস্তানের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড়ের দাবি, তাঁদেরকে যৌন হযরানি করা হযেছে৷ তবে আফগান ফুটবল ফেডারেশন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

সমাজের অপেক্ষাকৃত উদার এবং সাহসী মেয়েরাই আফগানিস্তানে ফুটবল খেলে থাকেন৷ এই নারী ফুটবল দলের মাধ্যমে দেশটির চলমান সাংস্কতিক  অবকাঠামোয় উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে এমনটি আশা করা হয়৷ তবে এই অভিয়োগ সেই প্রত্যশা এবং নারী অধিকারের প্রসারকে শঙ্কায় ফেলেছে৷ 

ইতোমধ্যে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা একটি তদন্ত দল গঠন করে কাজ শুরু করেছে৷ আফগান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কেরামউদ্দিন করিম অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ ডযেচে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এমন কোনো ঘটনার কথা আমি শুনিনি৷ বরং অন্য ঘটনা ঘটেছে৷'' তিনি জানান, জর্ডানে একটি আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ক্যাম্প চলাকালে হিজাব নিয়ে একটি সংকট হয়েছিল৷ ইউরোপ-অ্যামেরিকা থেকে খেলতে আসা আফগান নারীরা হিজাব ছাড়া খেলায় দেশের প্রতিবাদ, সমালোচনার ঝড় ওঠে৷  ওলামাদের কাছে বিষয়টি নিয়ে জবাবদিহী করতে হয় বলেও দাবি করেন কেরামউদ্দিন করিম৷

পরে নারী বিষয়্ক ক্রীড়া কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, উজবেকিস্তানে মধ্য এশিয়া ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে যাঁরা খেলতে যাবেন তাঁদেরহিজাব পরেই খেলতে হবে৷

এই মর্মে একটি চুক্তিও সাক্ষর করতে হয় নারী ফুটবলারদের৷

করিম দাবি করেন, জোর করে হিজাব পরতে বলায় নারী ফুটবলাররা এই অভিয়োগ তুলেছেন৷ অন্যদিকে করিমের এই দাবিকে ‘ঘৃণ্য' বলে জানান জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনাযক শবনম মোবারেজ ও সহ অধিনাযক খালিদা পোপাল৷ তাঁরা দাবি করেন, আফগান ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা নিযমিত আমাদের যৌন হ্য়রানি করে আসছে৷ আমাদের অনেকেই যৌ্ন নিগ্রহের শিকার৷

শবনম বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জর্ডানে ট্রেনিং ক্যাম্পে এই ঘটনার সূত্রপাত৷ সেখানে একদিন গভীর রাতে এক কোচের ঘর থেকে নারী ফুটবলার বের হয়ে আসতে দেখা যায়৷ সে সময় তিনি কিছু না বললেও পরে খালিদাকেবিষয়টি জানান৷

যৌন হয়রানির এই অভিযোগ নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের পাশাপাশি আফগান গণমাধ্যমও সরব হযেছে৷ তবে কারিম স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাবশালী৷ পাশাপাশি তিনি আফগান অলিম্পিক কমিটিরও প্রধান৷ তাই আদৌ এই অভি‌যোগের কোনো সুরাহা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান নারী ফুটবলাররা৷

নাসিম সাবের/এফএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান