আফগানিস্তানে হামলা
১৪ জুলাই ২০১২সামাঙ্গান প্রদেশের রাজধানী আয়বাকে বিয়ের আসরে হামলা চালিয়েছে এক আত্মঘাতী হামলাকারী৷ স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা গুলাম মোহাম্মদ খান জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি হোটেলে সাংসদ আহমেদ খান সামাঙ্গানির মেয়ের বিয়ের আসর চলছিল৷ সামাঙ্গানি নিজে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছিলেন৷ এমন সময় দেহে বিস্ফোরক বহনকারী একজন সামাঙ্গানির সাথে আলিঙ্গন করে৷ এসময়ই সে নিজের কাপড়ের নিচে লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সামাঙ্গানি৷ এছাড়া আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের পুলিশ কমান্ডার সায়াদ আহমদ সামায় এবং আফগান সেনাবাহিনীর ডিভিশন কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মাদুল্লাহ হাসপাতালে যাওয়ার পর মারা যান৷
আত্মঘাতী হামলাকারী কীভাবে বিয়ের আসরে প্রবেশ করল তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি৷ তবে উত্তরাঞ্চল পুলিশের মুখপাত্র লাল মোহাম্মদ আহমাদজাই বলেন, বিয়ের আসরে আমন্ত্রিত অতিথিদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য সেখানে কারো দেহ তল্লাশি করতে সম্মতি দেননি কনের পিতা আহমেদ খান সামাঙ্গানি৷ তিনি আরো জানান, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে৷
উল্লেখ্য, আহমেদ খান সামাঙ্গানি গত আশির দশকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন৷ এছাড়া ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময় তাদের বিরুদ্ধেও লড়েছেন তিনি৷ উজবেক বংশোদ্ভূত সামাঙ্গানি গত বছর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷ এছাড়া ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি প্রতিনিধি দলকে আয়বাকে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কারজাই৷ তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের শত্রুরা আবারও নিরপরাধ সাধারণ মানুষ এবং এমন একজন মুজাহিদের উপর হামলা চালালো, যিনি দেশের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন৷''
তালেবান এই হামলার সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে৷ তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছে, ‘‘আহমেদ খান উত্তরাঞ্চলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ তাঁর শত্রু থাকাটাই স্বাভাবিক৷'' সম্ভবত ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে কেউ তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে এই তালেবান মুখপাত্র৷
এএইচ / এসি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)