1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে নারী সাংসদ হত্যায় জাতিসংঘের নিন্দা

১৩ এপ্রিল ২০০৯

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এক প্রাদেশিক সাংসদ সিতারা আশিকজাই-কে হত্যা করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

https://p.dw.com/p/HVjb
নারী অধিকারের সপক্ষে সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন সিতারা আশিকজাইরছবি: AP

সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র নিলাব মুবারেজ বলেন, সিতারা ছিলেন একজন প্রতিশ্রুতিশীল এবং সাহসী নারী যিনি তাঁর দেশের এই অস্থিতিশীল অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সেবা করে আসছেন৷ মুবারেজ বলেন, সিতারা হত্যার সাথে জড়িতরা আফগানিস্তানের প্রকৃত ঐতিহ্যের অমর্যাদা করেছে এবং এ ধরনের কাপুরুষোচিত ঘটনার কোন যৌক্তিকতা নেই৷

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সিতারা হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানের জনগণের শত্রুদের মনে রাখা উচিত যে, যারা দেশের সেবায় আত্মোৎসর্গ করেছে এবং দেশকে আত্ম-নির্ভরশীল করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদের হত্যা করে শান্তি প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা যাবে না৷ কারজাই কান্দাহার প্রদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের অবিলম্বে সিতারা হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন৷ জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য বিষয়ক মন্ত্রী হাইডেমারি ভিৎসোরেক-সয়েলও এই হত্যার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, আফগানন কর্তৃপক্ষকে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে৷

৫০ বছর বয়সী সিতারা আশিকজাই রোববার সন্ধ্যায় সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধাদের হাতে নিহত হন৷ কান্দাহার প্রদেশের রাজধানী কান্দাহার নগরীতে তাঁর নিজ বাসভবনের সামনে মটর সাইকেল আরোহী সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে৷ তালেবান মুখপাত্র ক্বরি মোহাম্মাদ ইউসিফ আহমাদি সিতারা হত্যাকান্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেছে তবে তাঁকে হত্যার কোন কারণ উল্লেখ করেননি৷

সিতারা আফগানিস্তান ও জার্মানি উভয় দেশের নাগরিক৷ তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন জার্মানিতে কাটান৷ পরে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে কট্টরপন্থী তালেবান সরকারের পতন হলে তাঁর স্বামীর সাথে সিতারা দেশে ফিরে যান৷ তবে তাঁদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে জার্মানিতেই বসবাস করছেন৷ সিতারা আফগানিস্তানে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন এবং তাঁর স্বামী পেশায় চিকিৎসক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক৷

এর আগে তালেবান জঙ্গিরা গত বছর কান্দাহার প্রদেশের শীর্ষ নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে এবং ২০০৬ সালে প্রাদেশিক নারী বিষয়ক কর্মকর্তাকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শাসনামলে তালেবানরা মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া এবং তাদের ঘরের বাইরে কোন কাজ করা নিষিদ্ধ করেছিল৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক