1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে নারীদের উপর নীতি পুলিশের অত্য়াচার

১০ জুলাই ২০২৪

সম্প্রতি জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালেবান নীতি পুলিশ নারীদের উপর চরম অত্য়াচার চালাচ্ছে।

https://p.dw.com/p/4i5Cv
নারীদের উপর অত্য়াচার বাড়িয়েছে তালেবান
আফগানিস্তানে তালেবানছবি: Yaghobzadeh Alfred/ABACA/picture alliance

মঙ্গলবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয়েছে, যত দিন যাচ্ছে, আফগানিস্তানে নারীদের উপর ততই অত্যাচারের পরিমাণ বাড়ছে। তালেবান প্রশাসন নীতি পুলিশের পরিমাণ বাড়িয়েছে। নারীদের উপর নজর রাখাই তাদের কাজ। নারীদের উপর ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ক্রমশ বাড়ছে। তাদের পশ্চিমা কায়দায় চুল কাটতে দেওয়া হচ্ছে না, গান শুনতে দেওয়া হচ্ছে না। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে চলাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমশ নারীদের উপর নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ বেড়েছে। যদিও ক্ষমতায় এসে তালেবান জানিয়েছিল, তারা এবার অনেক বেশি আধুনিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মানা হয়নি।

নীতি এবং আদর্শ বিষয়ক আলাদা মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে তালেবান। নীতি পুলিশ তারই অংশ। তারা মেয়েদের কাজের পরিসর বন্ধ করেছে। মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে। এখন মেয়েদের চুল কাটা, গান শোনাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তারা।

যে কারণে ভিটেছাড়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তের মানুষ

রিপোর্টে বলা হয়েছে, নীতি পুলিশদের হাতে প্রচুর ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা ইসলাম-বিরোধী কাজ হচ্ছে, এই অভিযোগে নারীদের গ্রেপ্তার করছে, মারধর করছে এমনকি শাস্তি পর্যন্ত দিচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমাজ সংস্কারের লক্ষ্য়েই এমন কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে তালেবান।

রিপোর্টে অভিযাগ করা হয়েছে, সার্বিকভাবে একটি আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে। মেয়েরা কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে বার হতে পারছেন না। বাড়ির বাইরে বার হলেই তাদের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হচ্ছে। সেই পোশাক পরেও তারা কোনো পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে পারছেন না। কারণ, নীতি পুলিশ মনে করে, একাজ ইসলাম-বিরোধী। মেয়েদের কাজের পরিসর অনেক আগেই খর্ব করা হয়েছিল। তালেবানের বক্তব্য়, পুরুষ সঙ্গী নারীকে সুরক্ষা দিতে পারে, সে কারণেই এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাপিতদের চুল কাটার নির্দিষ্ট নিয়ম বলে দেওয়া হয়েছে। শুধু নারী নয়, পুরুষেরাও যাতে পশ্চিমা কায়দায় চুল না কাটে, সে দিকে লক্ষ্য় রাখতে বলা হয়েছে। পশ্চিমা কায়দায় চুল কাটলে শাস্তি দেওয়া হবে। তালেবানের দাবি, জাতিসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তা একেবারেই পশ্চিমা ভাবাদর্শ থেকে তৈরি। এই রিপোর্ট ইসলামিক সংস্কৃতির পরিপন্থি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)