1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

আফগানদের শান্ত হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ এদিকে নিহত দুই মার্কিন সেনা কর্মকর্তার হত্যাকারীর খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে আফগান কর্তৃপক্ষ৷ এর আগে ন্যাটো আফগান মন্ত্রণালয় থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেয়৷

https://p.dw.com/p/14ANI
Diese Bilder sind von Amiri, freier Mitarbeiter der Afghanistan-Redaktion, gemacht worden. Die Fotos zeigen den afghanischen Präsidenten Hamid Karzai bei einer Pressekonferenz in Kabul. Foto: Amiri, DW, 26.2.2012
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইছবি: DW

আফগানিস্তানে মার্কিন ঘাঁটিতে কোরান শরিফ পোড়ানোর ঘটনার পর চলমান বিক্ষোভে একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে৷ এখন পর্যন্ত মার্কিন সেনাসহ কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে এই সহিংস বিক্ষোভে৷ আহত হয়েছে দুই শতাধিক৷ ন্যাটো বাহিনীর কমান্ডারের দুঃখ প্রকাশ এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমা প্রার্থনাও শান্ত করতে পারছে না ধর্মপ্রাণ সাধারণ আফগানদের৷ তারা দেশটিতে বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতি এবং তাদের হাতে ইসলাম ধর্মের অবমাননার প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে৷

রোববার কুন্দুজ প্রদেশে এমনই এক বিক্ষোভ চলাকালে সাতজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছে৷ মার্কিন ঘাঁটির বাইরে বিক্ষোভ চলাকালে ঘাঁটির ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়৷ এই পরিস্থিতিতে রোববার টেলিভিশনে ভাষণ দেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ তিনি সাধারণ আফগানদের শান্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷ কারজাই আফগানদের অনুরোধ করেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে যাতে করে শত্রুরা এর সুযোগ না নিতে পারে৷

Afghan protesters shout anti-U.S. slogans during a demonstration in Kunduz province February 25, 2012. Four people were shot dead by Afghan security forces on Saturday as protests over the burnings of the Muslim holy book at a NATO base erupted for a fifth day, with an attempt by demonstrators to bombard a U.N. compound in the north. REUTERS/Stringer (AFGHANISTAN - Tags: CIVIL UNREST MILITARY POLITICS RELIGION)
মার্কিন ঘাঁটিতে কোরান শরিফ পোড়ানোর ঘটনার পর চলমান বিক্ষোভছবি: Reuters

উল্লেখ্য, আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পরদিন এই আহ্বান জানালেন প্রেসিডেন্ট কারজাই৷ এই হামলার পেছনে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে তালেবান গোষ্ঠী৷ তারা জানিয়েছে, পবিত্র গ্রন্থের অবমাননার জবাব দিতে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ এর আগে তালেবান গোষ্ঠী এক বার্তায় সাধারণ জনগণকে বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায়৷ রোববারের ভাষণে আফগান প্রেসিডেন্ট অবশ্য কোরান পোড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছেন৷ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দেওয়া উচিত৷

এদিকে শনিবার দুই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সকল কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ন্যাটো৷ নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ তবে বার্তা সংস্থাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নিহত দুইজন কর্নেল এবং মেজর পদবির কর্মকর্তা৷ তাদের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য এখন তদন্ত চলছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স আফগান কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানিয়েছে, আফগান পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে৷ তারা আবদুল সাবুর নামে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সন্দেহ করছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য