আফগানদের ফেরত পাঠানো বন্ধে অ্যামনেস্টির আহ্বান
৫ অক্টোবর ২০১৭‘‘বিতাড়নের (আশ্রয়প্রার্থী) সংখ্যা বাড়াতে দৃঢ়সংকল্প ইউরোপীয় সরকারগুলো অবৈধ ও বেপরোয়া নীতি বাস্তবায়ন করছে,’’ বলেন অ্যামনেস্টির শরণার্থী ও অভিবাসী অধিকার বিষয়ক গবেষক আনা শেয়া৷ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করেন তিনি৷ শেয়া বলেন, আফগানিস্তানে সহিংসতা যে রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে সে ব্যাপারে ‘ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ' করে রেখেছে ইউরোপীয় সরকারগুলো৷ দেশটিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত আফগানদের তাদের দেশে ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ করেছে অ্যামনেস্টি৷
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে তালেবানের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানালো মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি৷ রাজধানী কাবুলেও বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ জাতিসংঘের হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আফগানিস্তানে বিভিন্ন হামলায় কমপক্ষে ১,৬৬২ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে৷ এই সময়ে আহত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ৷ হতাহতদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ কাবুলে হামলার ঘটনার শিকার হয়েছেন৷
অ্যামনেস্টির গবেষক শেয়া জানান, ইউরোপ থেকে আফগানদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ বেড়েছে৷ অ্যামনেস্টি বলছে, ২০১৫ ও ২০১৬'র মধ্যে এই সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে ৩,২৯০ থেকে ৯,৪৬০ হয়েছে৷ ‘বিদেশি সহায়তার উপর নির্ভরশীল’ হওয়া সত্ত্বেও আফগান সরকারের উচিত মানুষ ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা না করা, বলছে অ্যামনেস্টি৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাট বলছে, জুন পর্যন্ত তার আগের ১২ মাসে এক লক্ষ আট হাজার ৫৫ জন আফগান নাগরিকের নাম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে৷ সংখ্যার বিচারে এক্ষেত্রে আফগানদের চেয়ে এগিয়ে আছে একমাত্র সিরীয়রা৷
জার্মানি থেকে সবচেয়ে বেশি বিতাড়ন
অ্যামনেস্টির রিপোর্ট বলছে, ইউরোপের মধ্যে জার্মানি থেকে সবচেয়ে বেশি আফগানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ সংখ্যার হিসেবে সেটি ৩,৪৪০ জন৷ এর পরে আছে গ্রিস (১,৪৮০), সুইডেন (১,০২৫), ব্রিটেন (৭৮৫) ও নরওয়ে (৭৬০)৷
আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়া আফগানদের দেশে ফেরত পাঠানোর জার্মান সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিবিদ ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)
১৪ সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...