আপনজনের কল্যাণ কামনায় কার্তিক ব্রত
আপনজনের কল্যাণ কামনায় বছর বছর কার্তিক মাসের শেষ ১৫ দিনের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার উপবাস পালন করেন লোকনাথভক্তরা৷ আশ্রমে এসে সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে উপবাস ভাঙেন তাঁরা৷
কেন এই উৎসব
কথিত আছে কলেরা-বসন্তের হাত থেকে বাঁচার জন্য কার্তিক মাসে উপবাস পালন এবং আশ্রম প্রাঙ্গণে ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বাবা লোকনাথ৷ এরপর থেকে লোকনাথ ভক্তরা তাই কার্তিক মাসে এই উৎসব পালন করেন৷
নানা নাম
‘কার্তিক ব্রত’, ‘রাখের উপবাস’, ‘গোসাইর উপবাস’, কিংবা ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ লোকনাথভক্তদের কাছে এই উৎসব নানা নামেই পরিচিত৷
ভক্তদের সমাগম
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার লোকনাথ আশ্রমগুলোতে রাখের উপবাসকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান৷
সূর্য ডোবার অপেক্ষায়
সন্ধ্যা নামার আগে সারিবদ্ধভাবে আশ্রম ঘিরে বসতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা৷ অপেক্ষায় থাকেন সূর্য ডোবার৷
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন
সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে ঘিয়ের প্রদীপে আগুন জ্বালান ভক্তরা৷ অন্ধকার ভেদ করে তখন ভক্তদের পবিত্র প্রদীপালোকে আলোকিত হয় চারপাশ৷
প্রার্থনা
প্রদীপ জ্বালানো হলে ধূপের ধোয়ায় আচ্ছন্ন আশ্রমে প্রার্থনায় মগ্ন হন পুণ্যার্থীরা ৷ আপনজনের জন্য কল্যাণ কামনা করেন তাঁরা৷
উপবাসের শেষ
ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো শেষ হলে ভাঙা হয় সারাদিনের উপবাস৷
বারদী লোকনাথ আশ্রম
রাখের উপবাস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পুণ্যার্থীর মিলনমেলা ঘটে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে৷
স্বামীবাগ লোকনাথ আশ্রম
ঢাকা শহরের স্বামীবাগ এলাকার লোকনাথ আশ্রমেও শত শত ভক্ত রাখের উপবাস পালনে মিলিত হন কার্তিকের শেষ পনের দিনের শনি ও মঙ্গলবার৷