‘আতঙ্কের জনপদ দেশ’
৫ মে ২০১৪সামহয়্যার ইন ব্লগে আব্দুর রহমান মিল্টন লিখেছেন, ‘‘আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে দেশ৷ ক্রমাগত হত্যা ও জনগণের নিরাপত্তাহীনতায় মানষের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আজ সন্ত্রাসী,অভিযুক্তদের নামে মামলা করতেও মানুষ দ্বিধাবোধ করছে৷ দীর্ঘ দিনেও অপরাধীদের বিচার করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসনের ওপরও মানুষ আস্থা হারাতে শুরু করেছে৷ এতে শুধু সরকার নয় পুরো দেশের ভাবমূর্তি হুমকির মুখে পড়েছে৷''
একই ব্লগে সৈয়দ ছায়েদ আহমদ লিখেছেন, ‘‘শুধু একজন নূর হোসেন নয়, তার গডফাদারকেও খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷ নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে৷ এ অবস্থায় র্যাবের প্রত্যেককে প্রত্যাহার করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি তদন্তের ব্যাপার৷ তবে প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেবেন না৷'' এখানে ছায়েদ আহমেদ প্রশ্ন রেখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেওয়া না দেওয়ার কে?'
আহমদ জসিম লিখেছেন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে৷ তিনি লিখেছেন,‘‘অনেক স্থানেই ব়্যাবের ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসীর মৃত্যুর পর মিষ্টি বিতরণের ছবি পত্রিকাতে ছাপা হয়েছে৷ এই অর্বাচীন জাতি ভুলে গিয়েছিল অপরাধ দিয়ে অপরাধ দমন একটা বড় অপরাধের পূবর্প্রস্তুতি৷ মনে পড়ে স্রেফ কমিউনিস্ট হবার অপরাধে ৭০ বছরে বৃদ্ধ মোফাক্কর চৌধুরী আর ততোধিক বয়স্ক কামরুল মাস্টারকে যখন হত্যা করা হয়, তখন এদেশের সুশীল সমাজ, মিডিয়া সকলেই ছিল চুপ! এমন কি যখন এই ব়্যাব নামক খুনি বাহিনীর সমস্ত- অপরাধের দায় মুক্তি দেওয়া হলো তখনও এই জাতি ছিল নিশ্চুপ৷''
জসিম লিখেছেন, ‘‘মার্কিন মদদে গড়ে উঠা এই খুনি বাহিনী আমাদের নীরবতার ফলে আজ পরিণত হয়েছে ভাড়াটে খুনিতে৷ তাদের ঔদ্ধত্য আজ এত বেড়েছে যে, দেশের ষোলো কোটি মানুষই তাদের হাতে বন্দি৷''
আহমেদ রশীদ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছেন,‘‘নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা মিশনে ৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে৷ গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে, সুপরিকল্পিত এই ঘটনায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যসহ কিলিং মিশনে অংশ নেয়া খুনিদের মধ্যে এই টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে৷ আর অর্থের জোগান দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এরশাদ শিকদার খ্যাত নূর হোসেন ও বিএনপির স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া গেছে এই তথ্য৷'' তবে ঠিক কোন সূত্র থেকে তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন তা উল্লেখ করেননি৷
আহমেদ রশীদ একই সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬ সদস্যকে এরইমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ এখন এসপি অফিসের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা৷ এরইমধ্যে ওই কর্মকর্তার অতীত রেকর্ড পর্যালোচনা শুরু হয়েছে৷ তাকেও দ্রুত অপসারণ করা হতে পারে বলে সূত্র দাবি করছে৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন