নতুন বছর
১৪ এপ্রিল ২০১২প্রার্থনা একটাই৷ বৈশাখের শক্তিতে মঙ্গল আর শুভ যেন ভরিয়ে দেয় বাঙালির জীবনকে৷ একই শক্তিতে বাঙালি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তিকে৷
বাঙালির বর্ষবরণ শুরু হয়েছে রমনা বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে৷ আর তা ভোরে নতুন বছরের সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই৷ আছে মঙ্গল শোভাযাত্রা৷ এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূলভাব সমুদ্র বিজয় আর যুদ্ধাপরাধের বিচার৷ আছে আরো নানা আয়োজন, ঢাকায়, সারা দেশে৷ বাঙালির এই আয়োজনে নেই কোনো ধর্মের দেয়াল, নেই কোনো সংস্কার৷ আছে কাছে আসার, কাছে টানার বাঙালিয়ানা৷ আছে এক অনাবিল আনন্দে অবগাহনের আহ্বান৷ বললেন, সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম৷ তিনি জানান, বাংলা বর্ষবরণে নাগরিক আর বণিক এক হয়ে যান৷ এক হয়ে যান চাষি৷ এমন সম্মেলনী আর কোথাও দেখা যায়না৷
সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, বৈশাখের একটি প্রচণ্ড শক্তি আছে৷ আর বঙালি এই শক্তিকে ধারণ করে বিদায় করে সব অশুভকে৷ গড়ে তোলে সত্য আর সুন্দর এক সামাজিক জীবন৷ শক্তিকে ধারণ করে এগিয়ে যায় প্রগতির পথে৷
আর এই বাংলা বর্ষবরণকে নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ প্রথমবারের মতো রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে নামানো হয়েছে নিরাপত্তা রোবোট৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ